দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুর থানার অন্তর্গত আকনার (সুভাষগ্ৰাম থেকে কিছুটা দূরে) বিশালাক্ষী মাতার মন্দিরে এক সপ্তাহ আগে চুরি হয়। এলাকার হিন্দুরা থানায় ডাইরি করে। পরদিন মন্দিরের দরজা ভেঙে আবার চুরি হয়। তিনজন দুষ্কৃতিকে এলাকাবাসীরা ধরে ফেলে। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য অনুযায়ী তিনজনই পার্শ্ববর্তী মল্লিকপুরের গাজীপাড়ার মুসলমান। থানায় ডাইরিও হয়। কিন্তু এলাকাবাসীরা জানে না পুলিশ ওই তিনজনের বিরুদ্ধে কি আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। আদৌ নিয়েছে কি না। গতকাল পুনরায় মন্দিরের দরজা ভেঙে মূর্তি ভাঙচুর হয়। প্রতিমার শরীরের অলঙ্কার লুট হয়। প্রণামীর বাক্স ভেঙে প্রণামীর অর্থ লুট হয়। পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে এলাকার হিন্দুদের পরামর্শ দেয় যে বিষয়টি চেপে যেতে। মিডিয়াতে যেন না জানানো হয়। বাইরে যেন খবরটি না যায়। নাহলে অশান্তি হবে। সেইসঙ্গে পুলিশ ভাঙা প্রতিমা ঢাকা দিয়ে যায়। যারা মন্দির এবং বিগ্ৰহ ক্ষতিগ্ৰস্ত করেছে, মন্দিরের অর্থ এবং গয়না লুট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্বন্ধে কোন কথা পুলিশ উচ্চারণ করে নি। আমরা কোন অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে চলেছি ?



