কয়েকদিন পূর্বে হিন্দু সংহতির পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের জানিয়েছিলাম যে হিন্দু সংহতির ব্যবস্থাপনায় বাঁকুড়া জেলার সাইমা খাতুন (সাবালিকা) পুরুলিয়া জেলার চন্দন মন্ডলকে বিবাহ করে হিন্দু গৃহবধূ চন্দ্রা মন্ডল হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছে। মেয়ের বাড়ী এবং তাদের আত্মীয় স্বজন, পরিচিত ব্যক্তিরা এটাকে তাদের সমাজের প্রেস্টিজ ইস্যু বানায়। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনও সক্রিয়ভাবে মাঠে নামে। হিন্দু সংহতির উপর চাপ রাখার প্রবল চেষ্টা করে। কিন্তু সেখানে ডাল একটুও গলছে না দেখে পুলিশ প্রশাসনের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। মেয়ের বাড়ির লোকজন ছেলের নামে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। বাঁকুড়া থেকে এসে পুলিশ ক্যানিং থানা এলাকা থেকে নবদম্পতিকে মানে চন্দন এবং চন্দ্রাকে নিয়ে যায়। হিন্দু সংহতির নেতৃত্ব পুলিশের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেয় যে কোর্টে প্রডিউস করার পর যদি মেয়েটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিতে বলে যে সে স্বেচ্ছায় চন্দনকে বিবাহ করেছে তবে পুলিশ সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে ওদের দুজনকে যেখান থেকে নিয়ে যাচ্ছে, সেখানে পৌঁছে দিয়ে যাবে।

আজ (22/11/2021) বাঁকুড়া জেলার খাতড়া কোর্টে মেয়ের বাড়ীর পক্ষের প্রায় পাঁচশো লোক হাজির ছিল। কিন্তু কিছুতেই ওরা সুবিধা করে উঠতে পারে নি। স্নায়ুর যুদ্ধে এবং আইনি লড়াইয়ে #হিন্দু_সংহতি এবং চন্দ্রা বটবৃক্ষের মত অটুট ছিলো। পুলিশ নিজেদের দায়িত্বে চন্দন এবং চন্দ্রাকে ফিরিয়ে দিয়ে গেলো। এরকম জয়ের স্বাদ হিন্দু সংহতি আগেও পেয়েছে। তবে এবারের জয়টা আলাদা মাত্রার। চাপের সামনে মাথা নত না করে সম্পূর্ণ রূপে আইনানুগ ভূমিকা পালন করার জন্য হিন্দু সংহতি সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে।



