হাসিনা সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্বেও নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। এখনও দেশটির বিভিন্ন জেলা থেকে হামলার খবর আসছে। এবারে একই রাতে বাগেরহাট ও পিরোজপুর থেকে হিন্দুর আক্রান্ত হওয়ার খবর এলো।
গতরাতে ১১ ঘটিকায় বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ ৬ং চিংড়িখালী ইউনিয়নের চিংড়িখালী গ্রামে এক হিন্দু পরিবারের উপর মারধর, মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর ও বসত বাড়িতে হামলা, একজন মহিলা হাসপাতালে ভর্তি।আক্রান্ত পরিবারের সদস্য বন্ধন ভট্টাচার্য জানান যে আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিয়েছে।
এদিকে একই রাতে পিরোজপুরের এক হিন্দু ব্যবসায়ীর দোকানে আগুন দেয় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের নন্দিপাড়া গ্রামের এক হিন্দু ব্যবসায়ী সুকুমার দাসের দোকানে আগুন দেওয়া হয়। আগুনে পুরো দোকানটি মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দোকানের ভিতরে থাকা সমস্ত জিনিসপত্রও পুড়ে যায়। কোনও কিছুই রক্ষা করতে পারেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপরে ছোটখাটো হামলার ঘটনা সারা বছরই চলতে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। অনেক ক্ষেত্রে আবার আতঙ্কিত হিন্দু সংখ্যালঘুরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার সাহস করে উঠতে পারেন না।