
বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর ঘটে চলা অবর্ণনীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ জানাবার জন্যে হিন্দু সংহতির পক্ষ থেকে আজ কলকাতার রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করা হয়েছিল। কর্মসূচী ছিলো বেলা ১১ টায় শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে জমায়েত হয়ে মিছিল করে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের অফিসে গিয়ে হাই কমিশনারকে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হিন্দু সংহতির দাবীগুলি পেশ করা।

কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার গতকাল লিখিতভাবে জানিয়ে দেন যে তারা হিন্দু সংহতি কে এই কর্মসূচী পালন করার অনুমতি দিচ্ছেন না। হিন্দু সংহতি বুঝে যায় যে পুলিশ তাদের শিয়ালদহ স্টেশনেই আটকাবে। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরী হয়। প্রথম, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ এবং মিছিল করে এগোবার চেষ্টা। দ্বিতীয়, সেখানে বাধাপ্রাপ্ত এবং গ্ৰেপ্তার এবং লাঠিচার্জের ফলে কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে হলে বেশ কিছু কার্যকর্তা পুলিশের নজর এড়িয়ে পৌঁছে যাবেন বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিসের সামনে। সেখানে বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নির্যাতন চালানো মুসলিম মৌলবাদী শক্তিকে তীব্র ধিক্কার জানানো হবে। তৃতীয়, পুলিশের নজর সম্পূর্ণ এড়িয়ে একটা দুই বা তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ হাইকমিশনারের অফিসে ঢুকবে এবং হিন্দু সংহতির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি জমা দেবে। তিনটি কার্যক্রমই হিন্দু সংহতি সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছে।

হাজার চেষ্টা করেও পুলিশ হিন্দু সংহতিকে বাংলাদেশ হাই কমিশনের অফিসের সামনে যাওয়া থেকে নিবৃত্ত করতে পারে নি। দুটো ভিডিও দিচ্ছি। প্রথমটা শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে হিন্দু সংহতির তুমুল বিক্ষোভ। দ্বিতীয়টা বাংলাদেশ হাইকমিশনারের অফিসের সামনে তুমুল বিক্ষোভ। চারটে ছবি দিচ্ছি। প্রথম দুটো শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরের। পরের দুটো বাংলাদেশ হাইকমিশনারের অফিসের সামনে। হিন্দু সংহতির স্মারকলিপি যে বাংলাদেশ হাই কমিশনের অফিসে রিসিভ হয়েছে তার সই ও স্ট্যাম্প। সম্পূর্ণ সফলতার সাথে হিন্দু সংহতি তার আজকের কর্মসূচী রূপায়িত করেছে। দু-জায়গা থেকে পুলিশ হিন্দু সংহতির বহু নেতা কর্মীকে গ্ৰেপ্তার (সংগঠনের সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য্যকে গ্ৰেপ্তার করা হয় শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর থেকে) করে লালবাজারে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।