অবশেষে হিন্দু সংহতির সুদীর্ঘ নিরলস প্রচেষ্টা সাফল্যের মুখ দেখলো। ৫১ মাস ২৭ দিন পর পূর্ব বর্ধমানের সমুদ্রগড়ের হিন্দু সংহতির দুই কার্যকর্তা সঞ্জিত শর্মা এবং প্রতাপ সরকারকে জেল থেকে বের করে আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি। পুলিশ ওদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা আরোপ করেছিল। কোন একটি মামলায় জামিন হবার সাথে সাথে অন্য একটি মামলায় ট্যাগ করে জেল গেট থেকেই ওদের আবার গ্ৰেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু হিন্দু সংহতি একমুহুর্তের জন্যও হাল ছাড়েনি। এই দীর্ঘ ৫১ মাস ২৭ দিন হিন্দু সংহতি সম্পূর্ণভাবে এই দুই কার্যকর্তার পাশে ছিল। তাদের আইনি লড়াইয়ে, তাদের স্ত্রী সন্তানদের ভরণপোষণের বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র শৈথিল্য কখনো ছিলো না। প্রতিমাসে দুবার তিনবার করে সংগঠনের এক বা একাধিক কেন্দ্রীয় পদাধিকারী এই বিষয়ে বর্ধমান,কালনা, সমুদ্রগড়ে গিয়েছেন। আজ সঞ্জিত ও প্রতাপকে অভ্যর্থনা জানাতে বর্ধমান জেল গেটে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য্য। সঙ্গে হিন্দু সংহতির কেন্দ্রীয় টীম এবং সমুদ্রগড়ের সংগঠনের মূল কার্যকর্তারা। গত তিনদিন থেকেই এখানে উপস্থিত থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি নিজে বর্ধমান ও কালনা কোর্টের আইনগত খুঁটিনাটির শেষ পর্যায়ের বিষয়গুলি চূড়ান্ত করেছেন। কোন আইনি ফাঁকফোকর যেন না থাকে সেটি নিশ্চিত করেছেন। অবশেষে সফলতা। হিন্দু সংহতির সর্বস্তরের কার্যকর্তারা আনন্দিত, উল্লসিত। এই বিষয়ে যে আইনজীবিদের, হিন্দু সংহতির সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের সক্রিয় সহযোগিতা আমরা পেয়েছি, তাদেরকে সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
দীর্ঘ ৫১ মাস ২৭ দিন পর পূর্ব বর্ধমানের সমুদ্রগড়ের হিন্দু সংহতির দুই কার্যকর্তা সঞ্জিত শর্মা ও প্রতাপ সরকারকে জেল থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছে হিন্দু সংহতি
