গত ১লা জুলাই সমুদ্রগড় স্টেশন সংলগ্ন টোটো স্ট্যান্ডের ইউনিয়নের সহ সম্পাদক অভিজিৎ মিস্ত্রীর সাথে হিন্দু সংহতির সমুদ্রগড়ের লড়াকু কার্যকর্তা এবং ওই টোটো স্ট্যান্ডের অন্যতম টোটো চালক শিবু রাজবংশীর হাতাহাতি হয়। মারামারির সময় ওই ইউনিয়নের নেতার পক্ষ নিয়ে শিবুকে মারতে আসে একসময়কার সমুদ্রগড়ের দাপুটে কংগ্রেস নেতা শওকত খাঁনের দুই ভাগ্নে বাবলা খাঁন ও মিঠু খাঁন। অর্থাৎ হিন্দু সংহতির একজন কার্যকর্তার বিরূদ্ধে লড়াইয়ে অপরদিকে তিনজন। তাতেও ওরা সুবিধা করতে পারেনি। পুলিশের কাছে ওদের পক্ষ হয়ে ওই টোটো ইউনিয়নের আরেক নেতা বীরেন ঘরামি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন যে শিবুর হাতে তিনজনেই প্রচন্ড মার খেয়েছে। পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে প্রায় চিরুনি তল্লাশি করে শিবুকে গ্ৰেপ্তার করে।
হিন্দু সংহতির সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য্য সেই দিনই স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছিলেন যে সংগঠন সর্বতোভাবে শিবু রাজবংশী এবং তার পরিবারের পাশে থাকবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে সিনিয়র আইনজীবি নিয়োগও করা হয়েছে। কালনা কোর্টের খ্যাতনামা আইনজীবি গৌতম গোস্বামী। ২রা জুলাই বিচারক শিবুকে জেল হেফাজতে পাঠান। ৯জুলাই পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে ইনজুরি রিপোর্ট জমা দেয়নি। ফলে জামিন আটকে যায়। আজ পুলিশ ইনজুরি রিপোর্ট কোর্টে জমা দেয়। তাতে উল্লেখ করে যে শিবুর প্রচন্ড প্রহারে ওই ইউনিয়ন নেতার পায়ের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছে। মাথাতেও যথেষ্ঠ আঘাত পেয়েছে। পুলিশ সাতদিন পর আঘাতের গভীরতা জানাতে পারেনি। জানাচ্ছে ১৪ দিন পর। যে বিচারকের কাছে মামলাটি ওঠে তিনি আজ উপস্থিত ছিলেন না। অন্তত বিচারক মামলাটি শোনেন। হিন্দু সংহতির পক্ষের আইনজীবির জোরালো সওয়ালের পরেও ওই ইনজুরি রিপোর্টের কারণে জামিন নাকচ হয়ে যায়।
আজ হিন্দু সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রী সাগর হালদারের নেতৃত্বে হিন্দু সংহতির চারজন কেন্দ্রীয় কার্যকর্তা কালনা কোর্টে পৌঁছে গিয়েছিলেন। জামিন নাকচ হবার পরে আইনজীবিকে বলেছেন যত শীঘ্র সম্ভব জেলা আদালতে জামিনের জন্যে আবেদন করতে। সেইসঙ্গে কোর্ট চত্বরে উপস্থিত শিবু রাজবংশীর মা, স্ত্রী, অন্য আত্মীয়স্বজন এবং উপস্থিত সমুদ্রগড়ের হিন্দু সংহতির কার্যকর্তাদের বলেন যে আমরা শিবুর কাজে গর্বিত। ওর পরিবারের প্রয়োজন মেটানো এবং ওর আইনি সহায়তার দিকটি সম্পূর্ণ দেখভাল আমরা করছিলাম, ভবিষ্যতেও করবো। চিন্তার কোন কারন নেই। হিন্দু সংহতি শিবু রাজবংশী এবং তার পরিবারের পাশে আছে। থাকবে।