
“যারা পরিচয় লুকিয়ে আমাদের বোনেদের সম্মান নিয়ে খেলতে চায়, তাদের সাবধান করছি। যদি এখনও সতর্ক না হও, রাম নাম সত্য হ্যায় হয়ে যাবে।” ঠিক এই ভাষাতেই এইদিন জনপুরের নির্বাচনী সভা থেকে রীতিমতো লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বিশেষ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশ জুড়ে দিন দিন লাভ জিহাদের সংখ্যা বাড়ছে। নিজের ধর্ম ও নাম পরিবর্তন করে অন্য ধর্মের মেয়েকে ফাঁসিয়ে প্রেম করে বিয়ে করার প্রবণতা বাড়ছে আর যার সিংহ ভাগই করছে মুসলিম যুবক রা ,কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা পূর্ব বিবাহিত এবং তাদের সন্তান আছে। গত কয়েকদিনে বদায়ু, মেরঠ, খিরি, কানপুর সহ উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় লভ জিহাদের ঘটনা ঘটেছে।গ্রামের দুঃস্থ হিন্দু পরিবারের মেয়েদের টার্গেট করা হচ্ছে। তাই এবার লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নামতে চলেছে যোগীর প্রশাসন। নারীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা সামনে এলেই পুলিস ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করছে। যোগীর প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, লাভ জিহাদ গুরুতর সমস্যা। এটা সময় থাকতে আটকাতে না পারলে গম্ভীর সমস্যা হতে পারে।
কিছুদিন আগে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি ত্রিপাঠী এক রায়ে বলেছেন কেবলমাত্র বিয়ের জন্য ধর্ম পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়, ইসলামে বিশ্বাস ছাড়াই শুধু বিয়ের জন্য কোনও মহিলা বা পুরুষ ধর্মান্তরিত হতে পারবেন না , তাকে ধর্মান্তকরণ করা যাবে না। আদালতের এই রায় কেই হাতিয়ার করে এইদিন জনসভা থেকে যোগী বলেন ‘যারা পরিচয় লুকিয়ে আমাদের হিন্দু মেয়েদের সম্মান নিয়ে খেলছে, সাবধান করছি ,যদি সতর্ক না হও। তবে তাদের রাম-নাম সত্য হ্যায়ের যাত্রা শুরু হয়ে যাবে।’ তিনি আরো বলেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছে, বিয়ের জন্য ধর্ম পরিবর্তন জরুরি নয়। রাজ্য সরকার লাভ জিহাদে দাঁড়ি টানতে চলেছে।
যোগী আদিত্যনাথ এবার লভ জিহাদ রোখার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের কড়া আইন জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন।ইতিমধ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গিয়েছে।রাজ্যের নানা জায়গা থেকে লাভ জেহাদের খবর আসতে থাকায় অগাস্টে স্বরাষ্ট্র দফতরের বরিষ্ঠ সরকারি আধিকারিকদের আদিত্যনাথ নির্দেশ দেন, লাভ জিহাদ বন্ধ করার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে। উত্তর প্রদেশ সরকারের মিশন শক্তি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এই প্রকল্প মহিলাদের নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষা করবে। এর দ্বিতীয় ভাগ অপারেশন শক্তি ইভটিজারদের শায়েস্তা করবে।
ইদানীং কালে এমন কড়া ভাষায় কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লাভ জিহাদের বিরোধিতা করেননি। কিছুদিন আগে এমনই কড়া ভাষায় লাভ জিহাদের বিরোধিতা করেছিলেন অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। লাভ জিহাদের সমস্যা শুধু উত্তর প্রদেশ বা আসামের সমস্যা নয় এর শিকড় পশ্চিমবঙ্গেও ছড়িয়েছে অনেক গভীরে কিন্তু সেই গভীর সমস্যা নিয়ে এখানকার সরকার ও বিরোধী কাউকেই একটি বাক্য খরচ করতেও দেখা যায়নি।