
“ইয়া দেবী সর্বভূতেষু অস্ত্ররূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ।।”
‘আত্মরক্ষার ক্ষমতাই আত্মনির্ভরতার ভিত্তি’। হ্যাঁ এই স্লোগান দিয়েই হিন্দু সংহতির মহিলা সংঘটন নারী সংহতি হিন্দু সমাজের স্বার্থে পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের যাত্রা পথ শুরু করে। চারিদিকে যখন নারীদের প্রতি ঘটে চলা খুন, ধর্ষণ এর মত হিংস্র ঘটনা গুলি জনমানস কে সম্পূর্ণ ভাবে নাড়িয়ে দেয় এবং যখন সবাই চিন্তা করে এর শেষ কোথায়? ঠিক তখনই নারী সংহতি সমাজকে শেখায় আত্মরক্ষার পাঠ, নারী দের নিজের সুরক্ষা করতে হবে নিজেকেই, তার জন্য তৈরী হতে হবে প্রতি মুহূর্তে। নারী সমাজের এই আত্মরক্ষার বিষয়টিকে মাথায় রেখে এবং সেটিকে প্রাধান্য দিয়ে নারী সংহতির প্রথম কর্মসূচী ‘অস্ত্ররূপেণ সংস্থিতা’ সূচনা হয়।
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু মেয়েদের হাতে আত্মরক্ষার স্বার্থে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অস্ত্র “পেপার স্প্রে” (আততায়ীর দিকে লঙ্কার গুঁড়ো স্প্রে করা যাবে) তুলে দেওয়া। যা সম্পূর্ণ আইনসিদ্ধ এবং তৎক্ষণাৎ ক্রিয়াশীল।
ইতিমধ্যে সংগঠনের তরফ থেকে হাওড়া জেলার আমতা বিধানসভার অন্তর্গত কুশবেড়িয়া অঞ্চলে, উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার মুক্তির চক অঞ্চলে ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বাসন্তী বিধানসভার চড়াবিদ্যা অঞ্চলে শতাধিক মহিলার মধ্যে এই “পেপার স্প্রে” বিতরণ করা হয়েছে। শুধু মাত্র বিতরণ নয়, কখন কোন পরিস্থতিতে এই অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে তার প্রত্যক্ষ প্রশিক্ষণও সংঘটনের তরফ থেকে তাদের দেওয়া হয়।
হিন্দু সংহতির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদিকা চন্দ্রিকা বল জানান পূজার আগেই আরো বহু এলাকায় নারী সংহতির পক্ষ থেকে হিন্দু মহিলাদের হাতে এই আইনসিদ্ধ আত্মরক্ষার অস্ত্রটি তুলে দেওয়া হবে। প্রায় দশ হাজার হিন্দু মহিলার কাছে প্রাথমিকভাবে এই পেপার স্প্রে পৌঁছে দেবার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে চন্দ্রিকা দেবী জানান। আর এই লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে তাদের আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করার জন্য তিনি সমগ্র হিন্দু সমাজকে এগিয়ে আসতে আহ্বান করেন।