পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক আধিপত্য থেকে মুক্ত হতে হলে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ লড়তে হবে- গতকাল বাংলাদেশের অন্যতম হিন্দু সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট- এর একটি আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন হিন্দু সংহতির সভাপতি শ্রী দেবতনু ভট্টাচার্য। এই আলোচনার বিষয় ছিল বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী, উন্নয়ন ও সম্প্রীতির আধার। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ইসলামিক মৌলবাদ হল বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর সব থেকে বড় অন্তরায়। ভারত বিভাজন ছিল সম্পূর্ণ প্রকৃতি বিরুদ্ধ এবং কোনও প্রকৃতি বিরুদ্ধ সিদ্ধান্তের স্থায়িত্ব চিরন্তন নয়। তাই এই বিভাজনের রেখা বিলুপ্ত হয়ে আবার এক হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ রাজনৈতিক দৃষ্টিতে পাকিস্তানের দখল থেকে মুক্ত হলেও পাকিস্তানী চেতনা থেকে মুক্ত হতে পারে নি। আজ এই পাকিস্তানী চেতনা বাংলাদেশকে ক্রমশ কব্জা করে নিচ্ছে। এটাও এক ধরণের সাম্রাজ্যবাদ। তাই এই পাকিস্তানী সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে মুক্ত হতে হলে বাংলাদেশকে আর একটা মুক্তিযুদ্ধ লড়তে হবে।

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বন্ধ না হলে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী অসম্ভব। একদিকে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে ক্রমাগত নির্যাতন চলতে থাকবে, অপরদিকে সেই নির্যাতনকারীরা অথবা এর প্রচ্ছন্ন সমর্থনকারীরা ভারতে এসে চিকিৎসা, পড়শুনা, ব্যবসা-বাণিজ্য করবে এটা সহ্য করা হবে না। ভারতে, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হবে। হিন্দু সংহতি বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে একাধিকবার বাংলাদেশ হাইকমিশনে ডেপুটেশন দিয়েছে। এবার প্রতিক্রিয়া অন্য রূপ নেবে।
এই আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন।