
হিন্দু সংহতি তার কর্তব্যে অবিচল। ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে পচিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আংশিক এবং সম্পূর্ণরূপে ঘর ভেঙে গেছের অনেকের। আশ্রয়হীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে জীবন যাপন করছে অনেক পরিবার। নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বহু গ্রাম। অনেক গৃহপালিত পশু মারা গেছে। গাছপালা ভেঙে অনেকের ঘরের উপর পড়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে আছে অনেক এলাকা।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিন্দু সংহতির কর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন হিন্দু সংহতির সর্বভারতীয় সভাপতি মাননীয় দেবতনু ভট্টাচার্য। দীর্ঘ ১৩০ কিলোমিটার বাইক চালিয়ে কলকাতা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী পাড়ি দিলেন দেবতনু ভট্টাচার্য ও ধ্রুবজ্যোতি বল। প্রথমে বাসন্তী থানার পালবাড়ীর বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। তারপর রওনা দেন চড়াবিদ্যা অঞ্চলে। চড়াবিদ্যার ছয়টি গ্রাম ঘুরে দেখেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। যাদের ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে, আজ রাতেও খোলা আকাশের নিচে ঘুমাতে হবে, এমন ১৭টি পরিবারকে অর্থ সাহায্য করেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত সনাতনী পরিবারগুলোর বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানোর নির্দেশ দেন স্থানীয় কর্মকর্তাদের। ঝড়ের তাণ্ডবে চড়াবিদ্যা অঞ্চলের হিন্দু সংহতির অফিস ঘরের চাল উড়ে গেছে, সেটিও ঘুরে দেখেন তিনি। বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করতে করতে রাত হয়ে যাওয়ার কারণে বাসন্তীতে স্থানীয় এক হিন্দু সংহতির কর্মীর বাড়িতে তিনি রাত্রি বাস করবেন বলে জানিয়েছেন। আগামীকাল আরও কিছু এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি।
দেবতনু ভট্টাচার্য মহাশয়ের সঙ্গে ছিলেন ধ্রুবজ্যোতি বল (সাধারণ সম্পাদক, যাদবপুর ডিভিশন, হিন্দু সংহতি) সাগর হালদার (কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, হিন্দু সংহতি) মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল (কেন্দ্রীয় সম্পাদক, হিন্দু সংহতি) মিলন ওঝা (সাধারণ সম্পাদক, বাসন্তী বিধানসভার, হিন্দু সংহতি) আরও অনেকে।










