বড়ঞা মসজিদে জুম্মার নামাজে হাজার লোকের জমায়েত, নিজামুদ্দিন কাণ্ডের ছায়া মুর্শিদাবাদে।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে মহামারীর কবলে গোটা বিশ্ব। ভারতবর্ষ সহ একাধিক দেশ লকডাউন পালন করছে। গোটা বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে, সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য। এই লকডাউন উপেক্ষা করে শুক্রবার মসজিদে হাজার লোকের জমায়েত। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার গোপীপুর এলাকার। সামাজিক দূরত্ব মানা তো দূরের কথা কারোর মুখে নেই মাক্স।
কান্দির এসডিপিও কুমার সানি রাজের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে মসজিদে জমায়েত কারীদের ছত্রভঙ্গ করেন। মসজিদের ইমামকে ডেকে সতর্ক করা হয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় আগামীদিনে এমন ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীদের সামনে মসজিদের ইমাম ঘোষণা করেন করোনা পরিস্থিতি চলাকালীন বাড়িতে নামাজ পরার জন্য। দিল্লির নিজামুদ্দিন কাণ্ড আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সমগ্র ভারতবর্ষজুড়ে। সেই ছায়া দেখা গেল মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা মসজিদে। এখনো সমাজের এক অংশের মানুষ সজাগ নয় সচেতন নেই তা আজকের এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু সংহতির কেন্দীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রী রজত রায় বলেন, “এই মুহূর্তে করোনার রোষে গোটা বিশ্ব। দিবা রাত্রি টি. ভি. তে এর ভয়াবহতার দিকটি তুলে ধরা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এটাও সতর্ক করা হচ্ছে যে সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় না রাখলে আমাদের দেশবাসীর জন্যেও ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে। তারপরেও মুর্শিদাবাদের মসজিদে নামাজ পড়ার জন্যে এই বিশাল জমায়েত আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে সমাজের একটা অংশ এই সতর্কতা মেনে চলতে রাজী নয়। তারা গোটা রাজ্য, গোটা দেশের জন্যে বিপদ ডেকে আনছে। অবিলম্বে কড়া হাতে এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এটা এক অর্থে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। একদিকে দেশ লড়বে করোনার বিরুদ্ধে, আরেকদিকে একদল লোক করোনাকে আমন্ত্রন করবে, দেশকে, দেশবাসীকে ভয়াবহ বিপদের মুখে ঠেলে দেবে, এটা চলতে পারে না। এদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা উচিত।”