ফেসবুক একটা পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন হিন্দু সংহতির গাইঘাটা বিধানসভার সভাপতি সঞ্জীব চক্রবর্তী
হিন্দু সংহতির গাইঘাটা বিধানসভার সভাপতি সঞ্জীব চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করলো গাইঘাটা থানার পুলিশ। ফেসবুক একটা পোস্ট করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১০ই এপ্রিল, ২০২০ তারিখ বিকালে সঞ্জীব চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ। পাশের জেলার অন্য একজন হিন্দু সংহতির প্রমুখ কর্মকর্তাকে প্রায় পাঁচ ঘন্টা থানায় ডিটেইন করে রাখা হয়েছিল বলে হিন্দু সংহতি সূত্রের খবর পাওয়া গেছে।
হিন্দু সংহতির সর্বভারতীয় সভাপতি মাননীয় শ্রী দেবতনু ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বার্তার মাধ্যমে বলেন, “হিন্দু সংহতির গাইঘাটা বিধানসভার সভাপতি সঞ্জীব চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করলো গাইঘাটা থানার পুলিশ। ফেসবুক একটা পোস্ট করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে আব্বাস সিদ্দিকী ভাইরাসের আক্রমণে ৫০ কোটি ভারতবাসীর মৃত্যু কামনা করেও কিন্তু বহাল তবিয়তে আছে। তাকে ছোঁয়ার ক্ষমতা কিন্তু এই পুলিশের হয় নি।
অন্য একজন প্রমুখ কর্মকর্তাকে প্রায় পাঁচ ঘন্টা পাশের জেলার একটি থানায় ডিটেইন করে রাখা হয়েছিল আজকে। অভিযোগ, তিনি একজন পুলিশ আধিকারিককে ফোন করে একটা ইনফরমেশন শেয়ার করেছেন। আমাদের জানা নেই একজন সরকারী কর্মচারী কিভাবে একজন নাগরিককে বলতে পারেন, আপনি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফোন করতে পারবেন না! যে ইনফরমেশন আমাদের কর্মকর্তা শেয়ার করতে চেয়েছিলেন সেটা এই পরিস্থিতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ গুরুত্ব দেওয়ার পরিবর্তে থানায় ডেকে হুমকি ধমকি দেওয়ায় এটা কি মনে করা যুক্তিযুক্ত হবে না যে পুলিশ তথ্য গোপন করতে চাইছে? আমি জানিয়ে দিতে চাই, একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে খুশী করার জন্য তাদের একটা অংশের দুষ্কর্মের তথ্য গোপন করে সমাজকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা আমরা ব্যর্থ করবো।
রাজ্যজুড়ে হিন্দু সংহতির কর্মীরা যখন সরকারী মেশিনারির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লক ডাউন পরিস্থিতির শিকার দুস্থ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াচ্ছে, ঠিক সেই সময় আমাদের প্রমুখ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করে অথবা থানায় ডেকে হুমকি ধমকি দিয়ে পুলিশ কী করতে চাইছে সেটা তারাই বলতে পারবে! আর এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা, নাকি সরকারের পলিসি- সেটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি।
আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এভাবে চাপ সৃষ্টি করে হিন্দু সংহতিকে কোনও দিন দমানো যায় নি, ভবিষ্যতেও যাবে না। দেশের ও সমাজের স্বার্থে আমরা আওয়াজ তুলবো, কারও ক্ষমতা নেই আমাদের কন্ঠরোধ করার।”