প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়িতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও শঙ্খধ্বনি করায় হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ চালাল মুসলিম জেহাদীরা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করেছে। সারা বিশ্ব লড়াই করছে এই মহামারীর হাত থেকে মানব সভ্যতাকে রক্ষা করার জন্য। সারা ভারতবর্ষ প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে লকডাউন পালন করছে। এই পরিস্থিতিতে মুসলিম জেহাদিদের হামলার শিকার হলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্ৰাম বিধানসভা এলাকার বিল্বগ্ৰাম অঞ্চলের ভোঁতা গ্ৰামের হিন্দুরা। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো ও শঙ্খ বাজানো হয়েছিলো। এই অভিযোগে এলাকার মসজিদে মাইকে এনাউন্স করে মুসলিমদের একত্রিত করে ওই হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। হিন্দু ঘরবাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় এমনকি অপবিত্র করা হয় ধর্মরাজ ঠাকুরের মন্দির। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি আক্রমণকারী মুসলিম দুষ্কৃতীরা ধর্মরাজ মন্দির ও মূর্তি ভাঙচুর করে এবং ধর্মরাজ মন্দিরে প্রস্রাব করে দেয়। এছাড়াও ওই গ্রামে আরও একটি মন্দিরে হামলা চালানো হয়। বাপি রজক নামে একজনের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ওই এলাকার একটি নাবালক হিন্দু ছেলের ফেসবুক পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। দাবি, নাবালিকা ছেলেটি ইসলাম ধর্মের অবমাননা দায়ক একটি পোস্ট ফেসবুকে করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করেছেন। ছেলেটি পরিবারের দাবি তাদের নাবালিকা ছেলে নির্দোষ। ফেসবুকে ওই পোস্ট সে করেনি। তার ফেসবুক কেউ হ্যাক করে এই চক্রান্ত করেছে। এই ঘটনার জেরে আগের থেকে এলাকায় উত্তেজনা ছিল চরমে। তখন থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন ছিলো ওখানে। তারপরে এই ঘটনা। ঘটনার সময় পুলিশ বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলো। ফাঁকা ময়দান পেয়ে আক্রমণকারীরা ইচ্ছেমতো বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হিন্দুরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তারা পিছু হটে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
আউসগ্রাম বিধানসভার হিন্দু সংহতির সভাপতি নিলয় চোঙদার বলেন আমরা রাতেই ঘটনার খবর পেয়েছি। আমরা ওই এলাকার হিন্দুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা সর্বদাই তাদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছি। আশেপাশের হিন্দু গ্রামগুলোও ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় একত্রিত হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের কঠিন শাস্তি না দেওয়া হলে অশান্তি ছড়িয়ে পড়বে।
ঘটনার লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে আউশগ্ৰাম থানায়। পুলিশ আটজন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে। এলাকা শান্ত রাখার জন্য বারবার আবেদন করা হচ্ছে।
Why are you Hindus so coward? Do you want to live in India or wanr to flee from India to dive in Indian Ocean to be disappeared for ever? Sad and unfortunate coward Hindus. From Bangladesh. Morte Shikho, marte Shikho and save future generations.
LikeLike