পাকিস্তানের গুরুদ্বার লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি মুসলিমদের, আতঙ্কে তীর্থযাত্রীরা
পাকিস্তানের নানকানা সাহিব গুরুদ্বার লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি মুসলিমদের। শুক্রবার সন্ধেয় এই ভয়ানক পরিস্থিতি সম্মুখীন হলেন ভারতীয় তীর্থযাত্রী-সহ পাকিস্তানে বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। জানা গিয়েছে, হঠাৎই পাকিস্তানের নানকানা সাহিব গুরুদ্বার ঘিরে ফেলে একদল মুসলিম। এরপরই শুরু হয় ইটবৃষ্টি। গুরুদ্বারের ভিতরে তখন কয়েকশো তীর্থযাত্রী। চলতে থাকে শিখ বিরোধী স্লোগানও। প্রাণ ভয়ে গুরুদ্বারের ভিতরে সেঁধিয়ে গিয়েছিলেন তীর্থযাত্রীরা। তারপরেও ক্ষোভের তীব্রতা কমেনি। সূত্রে খবর, গত বছর অগস্ট মাসে গুরুদ্বারের আক আধিকারিকের মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় এক মুসলিম যুবক। পরে তাঁকে ধর্মান্তরিত করাও হয়েছিল। এ দিন সেই যুবকের পরিবারের নেতৃত্বেই এই হামলা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। ঘটনার কথা জানতে পেরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চেয়ে টুইট করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, গুরুদ্বারে আটকে থাকা তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। ঐতিহাসিক তীর্থস্থানকে গুন্ডাদের হাত থেকে রক্ষা করুন। পরে ভারত কেন্দ্র সরকার বিবৃতি জারি করে ঘটনার নিন্দা করেন । জানানো হয়, এই ধ্বংসাত্মক ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে ভারত। এখনই শিখ সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করুক পাকিস্তান সরকার। এদিকে সাফাই গাইতে পালটা টুইট করেন পাক প্রধানমন্ত্রীও। তিনি একটি ভিডিও টুইট করেন। যেখানে দেখা যায়, পুলিশ মুসলিমদের মারধর করছে। সঙ্গে তিনি লেখেন, ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চলছে। কিন্তু পরে দেখা যায়, ২০১৩ সালের বাংলাদেশের ভিডিও ওটি। সমালোচনার মুখে পরে তড়িঘড়ি ভি্ডিওটি তিনি ডিলিট করে দেন।