CAA নিয়ে হিন্দু সংহতির সচেতনতাসভা বাসন্তীর চড়াবিদ্যায়
গত ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার চড়াবিদ্যার কুমারখালীতে অনুষ্ঠিত হলো CAA হিন্দু সংহতির সচেতনতাসভা । উপস্থিত ছিলেন হিন্দু সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রী রজত রায়, ও কেন্দ্রীয় সম্পাদক টোটন ওঝা সহ মিলন ওঝা, কানাই দলুই। সংহতির সাধারণ সম্পাদক শ্রী রজত রায় বলেন, “জেহাদী তাণ্ডবের বিরুদ্ধে হিন্দু সংহতি বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ময়দানে নেমেছে। গত দুদিন ধরে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল সংগঠনের ওখানকার কার্যকর্তাদের উপর যাতে কর্মসূচি বাতিল করা হয়। শুধু পুলিশ-প্রশাসন নয়, অন্য অনেক মহল থেকেও অনেক ভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছিল স্থানীয় কার্যকর্তাদের। তার পরেও ছেলেরা মাঠে নেমেছিলো। হিন্দু সংহতি যেহেতু জেহাদিদের মুখোমুখি মোকাবিলা করে এবং এই উদ্দেশ্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে, স্বাভাবিকভাবেই তাদের কর্মীদের, বিশেষ করে মূল কার্যকর্তাদের মাথার উপর বিভিন্ন গুরুতর মামলা রয়েছে। সেই সূত্র ধরে তাদের উপর অনেক মহল থেকে অনেক ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিলো।
কিন্তু প্রচন্ড চাপে আয়োজন সঙ্কুচিত হলেও কার্যক্রম হয়েছে। আমাদের জমায়েতস্থলের কিছুটা দূরে যে পরিমাণ বন্দুকধারী পুলিশ আমাদের বেষ্টন করে রেখেছিলো, ওই পরিমাণ পুলিশ থাকলে এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে উলুবেড়িয়াতে সেদিন ট্রেন এবং স্টেশন ভাঙচুর হতে পারতোনা। শুধু বাসন্তী থানার ও সি নয়, বারুইপুর পুলিশ জেলার সদরদপ্তর থেকেও একজন পদস্থ পুলিশ আধিকারিক টীম নিয়ে হাজির ছিলেন। এছাড়া চড়াবিদ্যা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ বাহিনী তো ছিলোই। এতো কিছুর পরেও প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়ে, মাথার উপরে অনেকগুলি মামলার খাড়া নিয়েও হিন্দু সংহতির ছেলেরা ময়দানে নেমে ছিলো। শুধু ওদের পাশে থেকে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবার জন্যে আমি ওখানে গিয়েছিলাম । আমি ওদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, এত ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নেমে তোমরা হিন্দুসমাজকে কি বার্তা দিতে চাইছো? তারা আমাকে উত্তর দিলো যে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে প্রমাণ রাখতে চাইছি যে আমরা মেরূদণ্ডহীন, কাপুরুষ নই। জিহাদিদের তাণ্ডবের মুখে এবং বিভিন্ন চাপের কাছে ভয় পেয়ে গুটিয়ে যাবার পাত্র নই। ওদের উদাহরণ হিন্দু সমাজের বৃহত্তর অংশ অনুসরণ করবে তো ?”