লাভ জেহাদ, হিন্দু মেয়েদের অভিভাবকদের প্রথম থেকে সতর্ক হওয়া উচিতঃ—–
ডিসেম্বর ৬, ২০১৯, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার লস্করহাটের বাসিন্দা সুমন্ত বর্মনের ২২ বছর বয়সি গঙ্গারামপুর কলেজে পাঠরতা মেয়ে পূজা ফেসবুকের মাধ্যমে প্রেমে পড়ে। প্রেমে পড়ে না বলে প্রেমের জালে জড়িয়ে পড়ে বলা ভালো। দিন কয়েক পূর্বে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় বা বলা ভালো প্রেমিকের সাথে চলে আসে। তপন থানায় মিসিং ডাইরি হয়। তারপর তার বাবার কাছে মোবাইলে একটি ফোন আসে। অপর প্রান্ত থেকে একটি ছেলে জানায়, আপনার মেয়ে ভালো আছে। চিন্তা করবেন না। সুমন্তবাবু বলেন, আমার মেয়ের সাথে কথা বলাও। ছেলেটি রাজী হয় নি। সুমন্তবাবুর বয়ান অনুযায়ী, সেইসময় তিনি শুনেছেন যে পাশ থেকে তার মেয়ে বলছে, বাবা , আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। ঐ নম্বর অনুসন্ধান করে তপন থানা জানতে পারে যে সেটি জাহিরুল খানের। পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পূর্ব নোয়াপাড়া পোস্ট অফিস এলাকার অন্তর্গত শকুনা গ্ৰাম। মেয়ের বাবা, দাদা হিন্দু সংহতির সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং বর্ধমানে আসে। হিন্দু সংহতির বর্ধমান দুর্গাপুর ডিভিশন কমিটির অন্যতম বিশিষ্ট কার্যকর্তা শিবাংশু ভঞ্জ তাদের রিসিভ করেন। মেয়েটির বাবা হিন্দু সংহতির সভাপতির কাছে চিঠি দিয়ে সাহায্যের আবেদন করেন। শিবাংশু বাবু জেলা সুপারের অফিসে বিষয়টি জানান। বর্ধমান দুর্গাপুর ডিভিশনের আর এক বিশিষ্ট কার্যকর্তা নিলয় চোঙদার বিষয়টি নিয়ে সক্রিয়ভাবে মাঠে নামেন। তিনি মঙ্গলকোট এবং তপন , দুই থানার সঙ্গেই নিরন্তর যোগাযোগ করতে থাকেন এবং তার নির্দেশে হিন্দু সংহতির একদল যুবক মঙ্গলকোট থানার সামনে পৌঁছে যায় মেয়েটির অভিভাবকদের মনে সাহস যোগানোর জন্যে। মঙ্গলকোট থানা সন্ধান করে জানতে পারে, ঐ জাহিরুল খান নামটি এস কে রাকেশ বলে একজনের নাম নিয়ে চলছে। সিমটি মুম্বাইয়ের সিম। এই নামটি ব্যবহার করে নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করতে সুবিধা হয়েছিলো।শকুনা গ্ৰামটি সম্পূর্ণ মুসলিম এলাকার মধ্যের একটি গ্ৰাম। মঙ্গলকোট থানা ছেলে এবং মেয়েকে ডাকিয়ে আনে। ঐ এস কে রাকেশ বা জাহিরুল খানের সঙ্গেও বেশ কিছু মুসলিম ছেলে আসে। এদিকে মেয়ের অভিভাবকদের পক্ষে হিন্দু সংহতির ছেলেরাও থানা চত্বরে ঠায় দাড়িয়ে থাকে। মেয়েটি তার বাবা, দাদার সঙ্গে ফিরতে রাজী হয় নি। মেয়েটির অভিভাবকদের বক্তব্য, মেয়েটিকে ভয় দেখানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কিছু করা গেলো না।ব্যর্থ মনোরথ হয়ে মেয়েটির বাবা দাদাকে ফিরতে হলো। নিজেদের সব কাজ বাদ দিয়ে হিন্দু সংহতির ছেলেরা থানা চত্বরে থাকলো। ওদের কমিটমেন্টের প্রতি পূর্ণ নিষ্ঠা ওদের ছিলো। এজন্যে ওদের সাধুবাদ প্রাপ্য। নিলয় চোঙদারের এক পিসি আজ গত হয়েছেন। তবুও সে এই বিষয়টি নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে। শিবাংশু ভঞ্জও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। হিন্দু সংহতি চেষ্টার ত্রুটি রাখে না। হিন্দুর স্বার্থে সদা সক্রিয় ভূমিকায় ময়দানে থাকে। ফলাফল কখনো হয়তো পক্ষে যায় না। কিন্তু ১০০% কমিটনেন্ট নিয়ে লড়াই করে। সেইসঙ্গে দুটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই। এ বিষয়ে মঙ্গলকোট থানার ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয় ছিলো। দ্বিতীয়ত, হিন্দু বাড়ীর মেয়েদের অভিভাবকদের অনেক বেশী সচেতন থাকা উচিত। মেয়েদের লাভ জেহাদের বিষয়ে সজাগ করুন। ঘটনা ঘটে যাবার পর ছুটোছুটি করলে লাভ নাও হতে পারে।