মারাত্বক প্লাস্টিক বিস্ফোরক বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে জামাতুল মুজাহিদিন(বাংলাদেশ)। তার জন্য রীতিমতো গবেষনাগার তৈরি করে ফেলেছিলো জেএমবি। রীতিমতো গবেষণা চলছিল। কিন্তু পুলিশি অভিযানে হদিশ মিলল জেহাদি সংগঠন নব্য জেএমবি-র সেই বোমা তৈরির গবেষণাগারের। রাজধানী ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জেই বিস্ফোরক তৈরির জন্য রীতিমতো ল্যবরেটরি তৈরি করেছিল জঙ্গি সংগঠনটি।পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত এক নব্য জেএমবি জঙ্গিকে জেরা করে ওই গবেষণাগারের কথা জানতে পারে পুলিশ। সেইমতো সোমবার ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। ডেরাটি থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, আইডি, বিস্ফোরক তৈরির উপাদান উদ্ধার করা হয়েছে। রীতিমতো গবেষণা করে ‘আরডিএক্স’ বা ‘প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ’ (মেটাল ডিটেক্টরে ধরা পড়ে না) বানানোর চেষ্টা করছিল জঙ্গিরা। তবে তাত্পর্যপূর্ণ বিষয় হল। যে বাড়িতে বোমা তৈরি হচ্ছিল, সেটির মালিক বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন ডিজিএম জয়নাল আবেদিন। অভিযানের দিন ভোরেই তার দুই ছেলে ফরিদউদ্দিন রুমি ও জামালউদ্দিন রফিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। একই সঙ্গে ফরিদউদ্দিনের স্ত্রী অগ্রণী ব্যাংকের কর্মী জান্নাতুল ফোয়ারা ওরফে অনুকেও আটক করে পুলিশ। নব্য জেএমবি-র সঙ্গে তাদের যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে জেএমবির এই বিস্ফোরক বানানোর চেষ্টা ভারতের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ জেএমবি-এর জাল বাংলাদেশ ছাড়িয়ে এখন সারা ভারতে বিস্তার লাভ করেছে। জেএমবি জঙ্গিরা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে স্লিপার সেলও খুলে ফেলেছে। একাধিক জিহাদির গ্রেপ্তার তারই প্রমান দেয়। এর আগে জেএমবি জঙ্গিরা বুদ্ধগয়াতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের বহু মুসলিম যুবক জেএমবি-তে নাম লিখিয়েছে। জেএমবি যদি সফল হয়, তবে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে সহজে ভারতের বিভিন্ন অংশে বিস্ফোরক পৌঁছে যাবে। ফলে ভারতে নাশকতার পরিমান বাড়বে বই কমবে না।