ঘটনা হুগলি জেলার। গত শনিবার রাত ৯টা ২০ নাগাদ কল্যাণবাটী অশ্বত্থতলায় আঁইয়া খালকুল্লার দুটি ছেলে মশাট থেকে বাইকে চড়ে আসছিল। অতিরিক্ত মদ্যপান করার জন্য তারা নিজেদের বাইকের ভারসাম্য হারিয়ে দ্রুতগতিতে পথের ধারে থাকা একটি হিন্দু ছেলেকে ধাক্কা মারে, তারপর বাইকের ভারসাম্য রাখতে না পেরে রাস্তার গায়ের পাঁচিলে ধাক্কা মারে। তখন বাইকচালক ব্যক্তির নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে এবং পিছনে বসে থাকা ছেলেটি রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে। তখন স্থানীয় ছেলেরা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে আহতদের স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং বাইক চালকের শারীরিক অবস্থার অতিরিক্ত পরিমাণে অবনতি হওয়ার কারণে তাকে সেখান থেকে কলকাতার বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বাইকের পিছনে বসে থাকা দ্বিতীয় ছেলেটিকে স্থানীয় লোকেরা তার বাড়ির লোকের হাতে তুলে দেয়। এবং যে ছেলেটিকে কলকাতার বড় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় সেই ছেলেটি মারা যান। জানা যায় মৃত ওই যুবকের নাম আসিফ মল্লিক। এরপর এই ঘটনাটির সম্পর্কে মৃত আসিফের পরিবারের লোকরা এবং মুসলিমদের এক শ্রেণীর লোক গুজব রটাতে থাকে। তারা বলে যে ছেলেটির গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে। এবং ছেলেটি মারা যাওয়ার পর মুসলিমদের একশ্রেণীর লোক রাস্তায় অবস্থান-বিক্ষোভের নামে যে স্থানে ঘটনাটি ঘটেছিল সেই জায়গার পার্শ্ববর্তী দোকানগুলির ওপর অত্যাচার চালায় এবং পাশে যে হিন্দু গ্রামটি আছে সেই গ্রামটির উপর হামলা চালাবার চেষ্টা করে। এবং বাইকে করে কিছু মুসলিম যুবক কল্যাণবাটী গ্রামের ভিতরে ঢুকে গালাগালি করতে থাকে এবং দুজন হিন্দু ছেলে তাদের কবলে পড়ে যায়, ছেলেদুজন নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পাশের ধানজমিতে ঝাঁপ দেয়।
কিন্তু এই ঘটনার জন্য পুলিশ সাতজন নিরীহ নির্দোষ হিন্দু ব্যক্তির নামে FIR করে এবং বর্তমানে দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে যাদের মধ্যে ষাট বছরের ঊর্ধ্বে একজন বৃদ্ধ আছেন। কিন্তু এর পরে আসরে নামেন ত্বহা সিদ্দিকী। তিনি গতকাল ২৫শে সেপ্টেম্বর, কয়েক হাজার মুসলিমদের জমায়তে উত্তেজক বক্তব্য রাখেন । সেই থেকে স্থানীয় এলাকার হিন্দুরা আশঙ্কায় ভুগছেন । তাঁরা হিন্দু সংহতির প্রতিনিধির কাছে তাদের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন।