বাংলার মাটিকে সুরক্ষিত রাখার জন্যে হিন্দু সংহতি জেহাদি শক্তির সাথে যেমন পাঞ্জা লড়ে, তেমনি সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রেও অগ্ৰনী ভূমিকা গ্ৰহন করতে দ্বিধাবোধ করে না। ব্লাড ব্যাঙ্কের রক্তাল্পতার সমস্যা মেটাতে উঃ চব্বিশ পরগনার ঠাকুরনগরে হিন্দু সংহতির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে গতকাল ১লা সেপ্টেম্বর, রবিবার আয়োজিত হয়েছিলো স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির। শতাধিক কার্যকর্তার রক্তদান, যুবকদের উৎসাহব্যঞ্জক শরীরী ভাষা, সুশৃঙ্খল অনুষ্ঠান, সবকিছুর মধ্যেই হিন্দু সংহতি সুলভ আচরনের ছাপ ছিলো স্পষ্ট। প্রধান অতিথির ভাষনে হিন্দু সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য বলেন, যে সমাজের প্রয়োজনে রক্তদান শিবির, সেই সমাজকে রক্ষার বিষয়ে আমাদের অগ্ৰনী ভূমিকা গ্ৰহন করতে হবে।বাঙ্গালী হিন্দুর ভবিষ্যত সুরক্ষার নিশ্চয়তা চাই। তিনি এটাও পরিষ্কার করে দেন যে জলকে পানি,স্নানকে গোসল বলা ব্যক্তিরা বাঙ্গালী নয়।হিন্দু কৃষ্টি সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা করা, মান্যতা দিয়ে চলা, বাংলায় কথা বলা ব্যক্তিরাই কেবল বাঙ্গালী। সেই বাঙ্গালীদের হোমল্যান্ড হিসেবেই এই পশ্চিমবঙ্গের সৃষ্টি।সেই হোমল্যান্ডের সুরক্ষার জন্যে হিন্দু সংহতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তার বক্তব্যে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে হিন্দু সংহতির ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেইসঙ্গে এটাও জানান যে সময় ও সুযোগ পেলে তিনি এই ধরনের কার্যক্রমে পুনরায় অবশ্যই আসবেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু সংহতির কেন্দ্রীয় সম্পাদক সুন্দর গোপাল দাস,বিশিষ্ট শিল্পী ঋষি কৌশিক,হিন্দু সংহতির বিশিষ্ট কার্যকর্তা টোটন ওঝা এবং সংগঠনের বারাসাত জেলার নেতৃবৃন্দ।এলাকার মানুষের প্রত্যক্ষ সমর্থন অনুষ্ঠানটিকে সর্বাঙ্গীন সফলতার রূপ দিয়েছিলো।
ঠাকুরনগরে হিন্দু সংহতির আয়োজনে রক্তদান শিবির
