গতকাল ১২ই আগস্ট, সোমবার সকালে রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার চলল পিজি হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে। এদিন সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নেফ্রোলজি বিভাগের তিনতলায় মেল ওয়ার্ডে ভর্তি মহম্মদ সাকির (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সেই সময় ওয়ার্ডে ছিল তাঁর দাদা সাজিদ। সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওয়ার্ডে কাচের কিউবিক্যাল ভাঙতে শুরু করে। হাত কেটে রক্ত বেরতে শুরু করে। সেই অবস্থাতেই উন্মত্তের মতো হাতের কাছে যাকে পেয়েছে, তাকেই মারধর করার চেষ্টা করে। সেই সময় ওয়ার্ডে ডাঃ সৌগত দাশগুপ্ত নামে এক চিকিৎসক কাজ করছিলেন। হাতের সামনে তাঁকে পেয়ে মারতে শুরু করে সাজিদ। এরপর ছুটে যায় কর্তব্যরত নার্সদের দিকে। ততক্ষণে খবর পেয়ে ওয়ার্ডে চলে আসে ভবানীপুর থানার পুলিস। ডিসি কমব্যাট সহ উচ্চপদস্থ পুলিসকর্তারাও আসেন। নেফ্রোলজি’র বিভাগীয় প্রধান ডাঃ রাজেন পাণ্ডে সহ অন্যান্য হাসপাতাল কর্তারা হাজির হন। ক্ষিপ্ত মৃতের দাদাকে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। এই ঘটনায় মৃতের বাড়ির লোকজনের তরফ থেকে চিকিৎসায় গাফিলতি বা অন্য কোনও অভিযোগ পুলিসের কাছে দায়ের করা হয়নি। কর্তব্যরত প্রহৃত চিকিৎসক ঘটনাটি লিখিতভাবে জানান পুলিসে। সেই জেনারেল ডায়েরিকেও অভিযোগ হিসেবে গণ্য করে এফআইআর রুজু করে মামলা শুরু করেছে পুলিস।
রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে পিজি হাসপাতালে মারধর করা হলো চিকিৎসককে, জিনিসপত্র ভাঙচুর; গ্রেপ্তার মহম্মদ সাজিদ
