পুরোনো বিবাদের জেরে হিন্দু প্রতিবেশীর নাবালিকা ৮ বছরের কন্যাকে খুন করলো তারই মুসলিম প্রতিবেশী। ঘটনায় নাবালিকার পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস মূল অভিযুক্ত কলিমুদ্দিন শেখকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ফরিদপুর থানার অন্তর্গত মামাকুঠি কোলিয়ারিতে। পুলিসকে করা অভিযোগে নাবালিকার পিতা রাজেশ শুক্লা জানিয়েছেন যে গত ২৯শে জুলাই, তাঁর নাবালিকা কন্যা কবিতা বাড়ির সামনে খেলা করার সময় নিখোঁজ হয়ে যায়। তারপরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাড়ির কিছু দূরে কলিমুদ্দিন শেখ এবং আরও তিনজন মদ্যপান করছিলো। তারাই তাঁর মেয়েকে অপহরণ করেছে বলে পুলিসের কাছে করা অভিযোগে আশংকা প্রকাশ করেন। কারণ কলিমুদ্দিনের সঙ্গে গতবছর হোলির সময় বিবাদ ছিল এবং কলিমুদ্দিন তাঁর ক্ষতি করবে বলে শাসিয়েও ছিল।
এরপর রাজেশের বয়ান মতো পুলিস কলিমুদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে। সেইসঙ্গে কলিমুদ্দিনকে জেরা শুরু করে পুলিস। পরে তাঁর বাড়ির শৌচাগারের সেফটি ট্যাঙ্কে রাজেশ শুক্লার নাবালিকা কন্যা কবিতার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
এই নৃশংস হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ক্ষিপ্ত জনতা কলিমুদ্দিনের দোকান ভাঙচুর করে। তারপর রাস্তার ওপর আগুন ধরিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে অবরোধ শুরু করে স্থানীয় জনতা। ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে বিশাল পুলিসবাহিনী ও RAF। পরে পুলিস আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে এলাকা শান্ত হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।