বাঙালি হিন্দুর মাটি বাঁচানোর লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। বাঙালি হিন্দুর সম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাঙালি হিন্দুর অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। জেহাদ মুক্ত পশ্চিমবঙ্গের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের সংকল্পের নাম হিন্দু সংহতি।
স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিলো মুসলিম ছাত্ররা, প্রতিবাদ করায় হিন্দু ছাত্রকে মারধর ; উদাসীন প্রধানশিক্ষক এবং পুলিস
স্কুলে প্রাথর্নার সময় জাতীয় সঙ্গীত ”জনগণমন ” গান হচ্ছিলো। কিন্তু স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর জনা দশ -বারো ছাত্র জাতীয় সঙ্গীত গাইবার বদলে আল্লাহু আকবর সহ একাধিক ইসলামিক ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছিলো। যা দেখে প্রতিবাদ করে স্কুলেরই একজন হিন্দু ছাত্র। ফল স্বরূপ ওই হিন্দু ছাত্রকে স্কুলের মধ্যেই ব্যাপক মারধর করলো ওই মুসলিম ছাত্ররা। মুসলিম ছাত্রদের মারে ওই হিন্দু ছাত্রের নাক ফেটে যায় এবং রক্ত পড়তে থাকে। এমনকি বুকেও গুরুতর আঘাত লাগে। আঘাত এতটাই গুরুতর যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদি মোহনচাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়ের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, গতকাল ১৮ই জুলাই, স্কুলে প্রার্থনা চলাকালীন নবম শ্রেণীর ক্লাস রুমের কাছে দ্বাদশ শ্রেণীর কিছু মুসলিম ছাত্র এসে প্রার্থনার লাইনে দাঁড়ায়। নির্দিষ্ট সময়ে জাতীয় সঙ্গীত শুরু হয়। কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত গাইবার বদলে আল্লাহু আকবর স্লোগান দেয় ওই মুসলিম ছাত্ররা। যা শুনে প্রতিবাদ করে স্কুলের নবম শ্ৰেণীর ছাত্র অরূপ হালদার। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে অরূপ হালদারকে সফিকুল গাজী, আসাদুল গাজীর নেতৃত্বে বেধড়ক মারধর করে ওই দ্বাদশ শ্রেণীর মুসলিম ছাত্ররা। অরূপ হালদারের নাক ফেটে রক্ত পড়তে থাকে, মাথায় আঘাত লাগে, বুকেও আঘাত ছিল গুরুতর। খবর পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং অন্যান্য শিক্ষকেরা ছুটে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে অরূপ হালদারকে ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল। ইতিমধ্যে স্কুলে পুলিস এসে পৌঁছায়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় নস্কর বিষয়টি মিটিয়ে নেবার জন্যে অরূপের অভিভাবককে চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু অরূপের পরিবার আপোসে অনড় থাকায় পুলিস একজন মুসলিম ছাত্র সফিকুল গাজীকে থানায় তুলে নিয়ে যায় এবং হাসপাতাল থেকে অরূপ হালদারকেও থানায় নিয়ে আসে পুলিস। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে রাতেই ওই সফিকুল গাজীকে থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিস। অন্যদিকে থানায় থাকার সময় অরূপের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আবার ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বর্তমানে অরূপ ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় নস্করের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। তিনি বারবারই মুসলিম ছাত্রদের অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে আসছেন এবং কোনোরকম অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। কারণ গত বছর নভেম্বরে স্কুলের পাশের গাজীপাড়ার কিছু মুসলিম ছাত্র রবি হালদার নামক এক হিন্দু ছাত্রকে ব্যাপক মারধর করেছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্কুলের ক্ষুব্ধ হিন্দু ছাত্ররা পরেরদিন স্কুলে ভাঙচুর চালিয়েছিল। তারপরেই প্রধান শিক্ষকের চক্রান্তের শিকার হয়ে রবি হালদার নামক ওই হিন্দু ছাত্রটি এখনো পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। হিন্দু সংহতির স্থানীয় প্রতিনিধি স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসের হিন্দু ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছে। হিন্দু ছাত্ররা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সেইসঙ্গে তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এবং স্কুল থেকে বদলি করে দেবার দাবি জানিয়েছে। এছাড়াও, পুলিস যাতে দোষী মুসলিম ছাত্রদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়, তার দাবিও তুলেছে তারা।
হিন্দু ঐক্য জিন্দাবাদ
LikeLike
Bohu din jabot anek kichui dekhchi r Sunchi
Abar o bolchi – sob bived vuley Jatiya Sanghati Bojay rakhar chesta Kora Uchit ll
LikeLike
হাসপাতালে অরূপ হালদারের বক্তব্যের একটা ভিডিও দেখেছিলাম। এখন খুঁজে পাচ্ছি না। কিছু কমিউনিস্টদের ট্যাকল করার জন্য দরকার। কেউ দিলে উপকৃত হব।
LikeLike