ভারতীয় নোট জাল করার এক বড়সড় চক্রের হদিশ মিলল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। গত ১৬ই জুলাই, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার রামপুরা এলাকার পলাশবাগের এক বহুতল আবাসনের আটতলার একটি ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিসের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ হদিশ পায় জাল নোট তৈরির একটি কারখানার। উদ্ধার হয়েছে ৫০০ এবং ২০০০ মিলিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার জাল নোট। এছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে একটি ল্যাপটপ, কালার প্রিন্টার, কালি, নোট ছাপানোর প্রচুর কাগজ, সিকিউরিটি স্ক্রিন বোর্ড এবং স্ট্যাম্প লাগানো ফয়েল পেপার। সেইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন জালনোট কারবারীকে। তাঁরা হলো -রফিকুল ইসলাম খসরু, মহম্মদ আব্দুর রহিম এবং জনি ডি কোস্টা। অন্য সরঞ্জাম স্থানীয়ভাবে জোগাড় করা সম্ভব হলেও, এই চক্রের হাতে ভারতীয় রুপির ‘সিকিউরিটি থ্রেড’-এর ফয়েল পেপার কোথা থেকে এল, তা নিয়েই ভাবছেন বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। জাল নোট তৈরির এই চক্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সংযোগ রয়েছে বলে নিশ্চিত তাঁরা। জেরায় গোয়েন্দারা জেনেছেন, যশোর, রাজশাহী এবং চাঁপাই নবাবগঞ্জের ভারতীয় সীমান্তে গোরু পাচারকারী চক্রের সদস্যদের জাল নোট পাচারের কাজে ‘ক্যারিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করা হত। আসন্ন ইদুজ্জোহার সময় এক কোটি টাকার জাল নোট ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশি চাঁইদের। জাল নোট তৈরির বাংলাদেশি চক্র নিয়ে ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক স্তরে খোঁজখবর শুরু করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)।