গ্রামের হিন্দুদের সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে নিষেধ করেছিল আশেপাশের গ্রামের টিএমসি আশ্রিত মুসলিম দুষ্কৃতীরা। কিন্তু নিষেধ না মানায় হিন্দুদের ওপর নেমে এলো অত্যাচার। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফলতা থানার অন্তর্গত নিত্যানন্দপুর গ্রামের। নিষেধ উপেক্ষা করে গ্রামের হিন্দু বাসিন্দারা ২৩শে মে ভোট দেন। তারপরেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে গত ৩০শে মে নিত্যনন্দপুর গ্রামে জাহাঙ্গীর খানের নেতৃত্বে একদল মুসলিম দুষ্কৃতী আসে। এসে গ্রামের হিন্দুরা বিজেপি সমর্থক এই অভিযোগ তুলে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে। পরে আবার ১লা জুন এসে আবার কয়েকজনের বাড়ি ভাঙচুর এবং বাড়ির মূল্যবান সামগ্রী লুঠ করে নিয়ে যায়। নিত্যনন্দপুর গ্রামের ১৮০ নং বুথের শ্যামল ঘোষ, গোপাল ভুইঁয়া, সঞ্জয় ভুইঁয়া, শৃঙ্খল ভুইঁয়া, মনিতোষ ভুইঁয়া এবং বিক্রম ভূইঁয়ার বাড়িঘর ভাঙচুর করে ও টাকা পয়সা, টিভি ও সাইকেল লুঠ করে নিয়ে যায়। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি গ্রামের মহিলারা। বাধা দিতে গেলে মহিলাদের বেধড়ক মারধর করে ওই দুষ্কৃতীরা। তাদের মারে আহত হয় কয়েকজন। বুথের জলের কলের হাতল ভেঙে দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও একইভাবে ওই গ্রামের ১৮১ নং বুথের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই বুথের হিন্দুদের মারধর করা হয়। দুষ্কৃতীদের মারে কমবেশি আহত হন মদন ঘোষ, সঞ্জয় ভৌমিক, কাবেরী ভৌমিক, বিক্রম ভৌমিক, বিধান ভৌমিক, শৃঙ্খল ভৌমিক, ইলা ঘোষ এবং গোপাল ভুইঁয়া। এছাড়াও প্রবীর কোটালের পা ভেঙে যায় দুষ্কৃতীদের আক্রমণে। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এছাড়াও এই বুথের পানীয় জলের কোলের ভিতর বালি-সিমেন্ট ঢুকিয়ে দিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা। ফলে জলের উৎস বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামের বাসিন্দারা হিন্দু সংহতিকে জানিয়েছেন যে, পঞ্চায়েত এবং পুলিস-প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এমতবস্থায় আতঙ্কে ওই বাসিন্দারা অন্য গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন।
ভোট দিতে নিষেধ; না মানায় হিন্দু গ্রামের ওপর নেমে এলো টিএমসি আশ্রিত মুসলিম দুষ্কৃতীদের অত্যাচার
