নিজের অস্ত্র নিয়ে শনিবার শিকারে বেরিয়ে কালনা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল সিরিয়াল মহিলা খুনি | এই ভয়াবহ খুনির নাম কামরুজ্জামান সরকার | বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। গত দেড় বছর আগে বাড়ি করে পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানার নসরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোয়ালপাড়ার সুজননগরে | খুনি এদিন পুলিশের নিকট তার অপরাধের সব কথা স্বীকার করে নিয়েছে। এই অপরাধীর নেশা ছিল বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মচারী সেজে লাল মোটর বাইক নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ানো | মিটার দেখার নাম করে বিভিন্ন বাড়িতে দিনের বেলাতেই প্রবেশ করতো। বাড়িতে মহিলাকে একা পেলেই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ধর্ষণ করতো। তারপর প্রমান লোপাটের জন্য প্রথমে মাথায় রডের আঘাত করে অজ্ঞান করতো। শেষে গলায় সাইকেলের চেন পেঁচিয়ে মহিলার মৃত্যু নিশ্চিত করেই বাইক নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেত।বিগত তিন মাসে কেবল কালনা থানাতেই ছয়টি এই রকম অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি মন্তেশ্বর, মেমারী, পাণ্ডুয়া, বলাগর থানা ধরলে এই অপরাধের সংখ্যা ১২টি। শেষ খুনের ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বৈকালে কালনা থানা এলাকায়। এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে পাশবিক অত্যাচারের পর হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভেন্টিলেশনে চিকিৎসা চলছে। পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে রবিবার অপরাধী বাইক নিয়ে শিকারে বেরিয়ে কালনা-১ ব্লকের কাঁকুরিয়া গ্রামে অপর এক বাইকের সাথে ধাক্কা মেরে পড়ে যায়। স্থানীয় একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার বাইক চালকদের তুলতে গিয়ে লাল বাইকের কথা মনে পড়ে যায়। কারন পুলিশ বিভিন্ন সূত্র ও সি সি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জানতে পেরে গিয়েছিল যে অপরাধী লাল বাইক ব্যবহার করে। তাই সন্দেহ হতেই সিভিক তার ব্যাগ পরীক্ষা করে দেখতে পায় যে ব্যাগে লোহার রড, চেন সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে। যে সরঞ্জামগুলি মহিলাদের হত্যা করার সময় ব্যবহার করা হতো। প্রথমে তাকে ধরে বুলবুলিতলা ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কালনা মহকুমার পুলিশ অফিসাররা গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সব দোষ স্বীকার করে। বুলবুলিতলা ফাঁড়ি থেকে অপরাধীকে কালনা থানায় আনা হয়। সেখানে বর্ধমান জেলার এডিশনাল এস পি এসে তাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন।
একের পর এক হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণের পরে খুন, কালনায় গ্রেপ্তার মুর্শিদাবাদের কামরুজ্জামান
