হিন্দু পরিচয় দিয়ে নিয়ে এসে আটকে রাখা এক অসহায় হিন্দু গৃহবধূকে মুসলিমদের কবল থেকে উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দিলো হিন্দু সংহতির কর্মীরা। গত ২২শে মে, ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত জীবনতলা থানা এলাকায়। হিন্দু সংহতির স্থানীয় কর্মীরা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করার পর পুরো ঘটনাটি বিস্তারিত জানা যায়। জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর নাম সুমিতা দাস(নাম পরিবর্তিত) ।তিনি এক কন্যা ও পুত্র সন্তানের মা। তার বাড়ি গোসাবায়। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তিনি তাঁর বাপের বাড়িতে থাকতেন এবং কলকাতায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এর মধ্যে কিছুদিন আগে ফোনে মিসকলে জীবনতলা এলাকার এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। ওই মুসলিম যুবক নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দেয়।ধীরে ধীরে ওই যুবকের সঙ্গে ওই মহিলার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই যুবকের কথামতো তিনি তাঁর দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে জীবনতলায় চলে আসেন। ওখানে খেলার মাঠের পাশে একটি ঘরে মহিলাকে আটকে রাখে ওই মুসলিম যুবকেরা। ওই মাঠে হিন্দু সংহতির কিছু কর্মী ফুটবল খেলছিল। তাদের নজরে পড়ে যে মেয়েটিকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে এবং মেয়েটি কান্নাকাটি করছে। আরও দেখা যায় যে বাইরে কয়েকজন মুসলিম যুবক মদ্যপান করছে। অশুভ কিছু ঘটতে চলেছে এই আশঙ্কা করে, ওই কর্মীরা অন্য কর্মীদের বিষয়টি জানান। তৎক্ষণাৎ হিন্দু সংহতির সক্রিয় কর্মী তাপস নস্কর, সন্দীপ নস্কর, মৃত্যুঞ্জয় রায়সহ কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং ঐ মুসলিম ছেলেদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং এক কর্মীর বাড়িতে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়। পরে ওই মুসলিম ছেলেরা হিন্দু সংহতির কর্মীদের নামে থানায় অভিযোগ জানায় এবং পুলিস তদন্তে আসে। পরে পুলিসের সামনেই ওই মুসলিম ছেলেদের আবার মারধর করে হিন্দু সংহতির কর্মীরা। তারপরেই গতকাল ২৩শে মে ওই গৃহবধূর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় হিন্দু সংহতির তরফে। ওর পরিবারের লোকেরা সুমিতা দাসকে সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে যায় । তাদের মেয়েকে বিপদের হাত থেকে উদ্ধার করায় তাঁর পরিবারের লোকেরা হিন্দু সংহতি এবং কর্মীদেরকে অশেষ সাধুবাদ জানিয়েছেন।
মুসলিমদের কবল থেকে হিন্দু গৃহবধূকে উদ্ধার করে বাড়িতে ফিরিয়ে দিল হিন্দু সংহতি কর্মীরা
