মুসলিমদের পাশে বসবাসরত হিন্দুর ধর্মস্থান, মন্দির, ধর্মীয় শোভাযাত্রা আর কোনোভাবেই এই পশ্চিমবঙ্গে সুরক্ষিত নয়। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় শান্তিপ্রিয় হিন্দুর ওপর জিহাদি মানসিকতার মুসলমানের অত্যাচার নেমে আসছে। এবার ভাঙা পড়লো কালী মূর্তি, মা বিপত্তারিনির মুর্তিসহ শনি মূর্তি। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার অন্তর্গত মসজিদবাটি গ্রামের। মূর্তি ভাঙচুর করার দায়ে স্থানীয় মুসলিম যুবক সাবির মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। স্থানীয় প্রতিনিধি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মসজিদবাটি গ্রামে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি একটি কালী মন্দির রয়েছে। সেই মন্দিরে মা কালীর মূর্তি ছাড়াও আরো অন্যান্য দেব-দেবীর মূর্তিও রয়েছে।গত ৪ঠা মে ভোরে স্থানীয় মুসলিম যুবক সাবির মোল্লা(পিতা-গোলাম) মন্দিরে থাকা মূর্তি ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের শব্দে স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন জেগে যান এবং সাবির মোল্লাকে ধরে ফেলেন। তাকে আটকে রাখা হয়। ইতিমধ্যে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন টিএমসি নেতা এবং প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শ্রী গৌর প্রধান। তিনি এসেই বিষয়টিকে হালকা করার চেষ্টা করেন এই বলে যে সাবির মানসিক ভারসাম্যহীন এবং বিষয়টিকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেবার জন্যে চাপ দিতে থাকেন।কিন্তু ইতিমধ্যে মন্দির ভাঙার খবর হিন্দু সংহতির কর্মীদের কানে পৌঁছায়। খবর পাওয়া মাত্রই হিন্দু সংহতির কর্মীরা সক্রিয় হয়। সাবির মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেবার দাবি জানিয়ে পুলিসের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয় হিন্দু সংহতির পক্ষ থেকে। শেষমেশ চাপে পড়ে পুলিস সাবির মোল্লাকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয়। উত্তেজনা থাকায়,এলাকায় পুলিসবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।