গতকাল বঙ্গের বীরযোদ্ধা মহারাজা প্রতাপাদিত্যের স্মরণে কলকাতায় পালিত হলো ‘প্রতাপাদিত্য উৎসব’। এই উৎসবের আয়োজক ছিল ‘পশ্চিমবঙ্গের জন্য’ নামক একটি সংগঠন। এই অনুষ্ঠানে সহযোগী ছিল #হিন্দু_সংহতি। কলকাতার থিওসোফিক্যাল সোসাইটি হলে এই অনুষ্ঠানে কলকাতার বহু জ্ঞানী-গুণী ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। শুরুতে সবাই মহারাজা প্রতাপাদিত্যের ছবিতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। প্রতাপাদিত্য স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক শ্রী
বিমল নন্দী, শ্রী সব্যসাচী বাগচী এবং সাহিত্যিক বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বাঙালির গর্বের ইতিহাস প্রতাপাদিত্যের সাশনকালের বিভিন্ন দিক, মুঘল শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং বাঙালি হিন্দুর হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে কিভাবে তাঁর থেকে প্রেরণা পেতে পারে, তা তুলে ধরেন। সব্যসাচী বাগচী তার বক্তব্যে বলেন যে, প্রতাপাদিত্য মুঘল শাসনের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ গড়ে তুলে বাংলায় হিন্দু শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই গৌরবের দিনগুলিকে বাঙালির ভুলে গেলে চলবে না।বরং তা থেকে প্রেরণা নিয়ে বাঙালি হিন্দুকে জিহাদি শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করতে হবে এবং যদি প্রয়োজন হয়, তবে প্রতিশোধের রাস্তায় হাঁটতে হবে । সাহিত্যিক বিনায়ক বন্দোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে বাঙালি হিন্দুর মধ্য থেকে হারিয়ে যাওয়া লড়াইয়ের ধারাটি তুলে ধরেন।তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাঙালি হিন্দু লড়তে জানে না, এ এক মিথ্যে প্রচার। বাঙালি হিন্দু লড়তে জানে ।তবু বারবার বাঙালি হিন্দুকে হারতে হয়।তার কারণ বাঙালির মধ্যে বিপদে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর মানসিকতার অভাব। তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আজ সবাইকে বাঙালি হিন্দুর গৌরব ফেরানোর লড়াইয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে দাঁড়াতে হবে। তবেই বাঙালি তাঁর হৃৎগৌরব ফিরে পাবে। এছাড়াও, এই অনুষ্ঠানে হিন্দু সংহতির পক্ষ থেকে মহারাজা প্রতাপাদিত্য স্মরণে একটি ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়। সেটি প্রকাশ করেন হিন্দু সংহতির সভাপতি শ্রী দেবতনু ভট্টাচার্য। এছাড়াও আয়োজকদের তরফে কল্যাণ সরকার, ধ্রুব মহাজন, প্রবীর ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও অনুষ্ঠানের আয়োজকরা লাভ জিহাদ ও নারী পাচার প্রতিরোধ করার কাজে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য হাওড়া জেলার শ্রী লাল্টু শী এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার শ্রী দীনবন্ধু ঘরামীর বিশেষ সম্মান প্রতাপাদিত্য পদক তুলে দেন। পুরো অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চলনা করেন শ্রী অনিমিত্র চক্রবর্তী।