আজ, হাওড়ার বাগনানে হিন্দু সংহতির উদ্যোগে নির্মিত ভগবান শ্রীরামচন্দ্র এবং হনুমানজীর মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন কর্মসূচী এলাকাবাসীর তুমুল উৎসাহ ও সক্রিয় অংশগ্ৰহনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো। মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন হিন্দু সংহতির কেন্দ্রীয় সম্পাদক শ্রী সুন্দর গোপাল দাস ,সহ সম্পাদক শ্রী সুজিত মাইতি, সহঃ সভাপতি শ্রী সমীর গুহ রায় এবং বাগনানের বিধায়ক শ্রী অরূনাভ সেন(এলাকায় যিনি রাজা সেন নামেই পরিচিত)। তার ভাষনে বিধায়ক সেন প্রভু শ্রীরাম এবং তার পরম ভক্ত শ্রী বজরঙ্গবলীজীর মন্দির নির্মানে এবং রামনবমীতে শ্রদ্ধা সহকারে প্রভু শ্রীরামের পূজার উদ্যোগ গ্ৰহনের জন্য হিন্দু সংহতির বাগনান শাখার কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।সেইসঙ্গে তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে হিন্দু সংহতির এই ধরনের অনুষ্ঠানে সুযোগ পেলেই তিনি পুনরায় আসবেন। তার বক্তব্যে হিন্দু সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রী রজত রায় মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্র এবং তার পরম ভক্ত বজরঙ্গবলীর বীরত্বগাথা এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষা শ্রীমতি অন্তরা সাহা এবং আনটিলা অঞ্চল প্রধান শ্রী সুকুমার মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন হিন্দু সংহতির বিশিষ্ট কার্যকর্তা শ্রী টোটন ওঝা। এদিন ৫০ জন মহিলাকে সংগঠনের পক্ষ থেকে বস্ত্র বিতরন করা হয়। সংগঠনের হাওড়া জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্রী মুকুন্দ কোলে এবং বাগনানের প্রমুখ কার্যকর্তা নিমাই,চন্দন, সুমনদের নেতৃত্বে এবং আনটিলা গ্ৰামের রঞ্জিত, গনেশ, বিশ্বনাথদের উদ্যোগে স্থানীয় যুবকরা বিপুল সংখ্যায় উৎসাহের সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশগ্ৰহন করেছিলো। মা , বোনদের উপস্থিতিও ছিলো লক্ষ্য করার মতো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হিন্দু সংহতির কর্মীরা মন্দির উদ্ঘাটনের জন্য প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ হেঁটে শোভাযাত্রা করে গিয়ে গঙ্গার জল আনে। শোভাযাত্রায় হিন্দু সংহতির নেতৃত্ব অংশ নেন।
হাওড়ার বাগনানে হিন্দু সংহতির কর্মীদের নির্মিত শ্রী রাম মন্দিরের শুভ উদ্বোধন ও বস্ত্র বিতরণ
