পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে দুই হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ, জোর করে ধর্মপরিবর্তন এবং বিয়ে করার ঘটনায় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে এক ব্যক্তি বিয়েতে সহায়তা করেছিল বলেও অভিযোগ। তাকে খানপুর থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এসবের মধ্যেই ওই দুই নাবালিকা পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের একটি আদালতে হাজির হয়ে নিরাপত্তার আর্জি জানিয়েছে বলে একটি পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, তাদের দু’টি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরেই এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপর পাক প্রশাসনের তরফে সাতজনকে আটক করার খবর মিলেছে।
একটি সূত্র থেকে ওই কিশোরীদের পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খান জেলায় নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছেন বলে গতকালই ট্যুইট করেছিলেন পাক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতভর রহিম ইয়ার খানে তল্লাশি চালিয়ে বিয়েতে সাহায্যকারী এবং ওই দুই নাবালিকার সঙ্গে যাদের বিয়ে হয়েছে সেই দুই ব্যক্তির কয়েকজন আত্মীয়কে আটক করেছে পুলিস। ওই সাহায্যকারী পাকিস্তান সুন্নি তেহরিকের একজন নেতা। আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সিন্ধু পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, হোলির দিন সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলার বাসিন্দা দুই বোন রবীনা (১৩) এবং রীনাকে (১৫) বাড়ি থেকেই অপহরণ করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইন্টারনেটে ভাইরাল হয় দু’টি ভিডিও। যার একটিতে ওই দুই নাবালিকার ‘নিকাহ’ করাতে দেখা যায় এক মৌলবীকে। অপর ভিডিওটিতে তাদের স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্মগ্রহণ করার কথা বলতে দেখা যায়। এরপর থেকেই পাকিস্তানজুড়ে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সেদেশে বসবাসকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত বছর নির্বাচনী প্রচারে হিন্দু মেয়েদের জোর করে বিয়ে আটকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।