বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত বোচাগঞ্জ উপজেলার সহসপুর চৌরঙ্গী বাজারে নিকটবর্তী শশ্মানে আনুমানিক গত ২৪শে ফেব্রূয়ারি, বিকেল ৫ ঘটিকায় নবনির্মিত কালী মন্দির ও শশ্মানে জায়গা দানকারী স্বর্গীয় কেশব চন্দ্র রায় বাবুর সমাধিস্থল ভাংচুর করে একই গ্রামের মোঃ আবদুল্লাহ (বাচ্চু মিয়া)ও সহসপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শফিকুল আলম বাবুর নেত্রীত্বে আনুমানিক দুই শতাধিক মুসলিম দুষ্কৃতি।
সনকাই ও মহাশ্মশান কালী মন্দিরের সভাপতি ভারত চন্দ্র রায় বলেন সহসপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে দুষ্কৃতিকারীরা প্রথমে শ্মশানের সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলার পর নবনির্মিত কালী মন্দিরের ঘরটি ভাঙচুরের পর অতর্কিত ভাবে জনসাধারণের দিকে ইট পাটকেল ছুঁড়ে মারে। এতে ঘটনাস্থলেই একই এলাকার গন্ডিরাম রায় পিতা ঝটুরাম রায়,শ্যামল রায়,মজেন রায়,হরিপদ রায়,নেতীশ চন্দ্র রায় সহ আরও দুই জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে গন্ডিরাম রায়কে দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাকিদের সেতাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ননীগোপাল রায় বলেন ঘটনাস্থলে আমি শান্তশিষ্ট রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি কিন্তু ভাংচুরকারীরা কোন কথাই শুনেনি।
নবনির্মিত মন্দির ও সমাধিস্থল ভাংচুর শেষে ভাংচুরকারীরা চৌরঙ্গী বাজারের আল্লাহু হু আকবর,ধর ধর মালাউনরে ধর চিৎকার করে হিন্দু দোকান ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হামলা চালায়। বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর লুঠপাট চালায় মুসলিম দুষ্কৃতীরা।
এই ঘটনার বিষয়ে বোচাগঞ্জ থানার আব্দুর রৌফ মন্ডলকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা শোনামাত্র ঘটনাস্থলে দ্রুত ফৌজ পাঠিয়ে দিয়েছি এবং গতকাল রাত্রেই মুল আসামিকে দিনাজপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার প্রস্তুতি চলছে।