গতকাল ২১শে ফেব্রূয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবসে ‘পশ্চিমবঙ্গের জন্য’-এর উদ্যোগে কলকাতার রাজা রামমোহন লাইব্রেরি হল-এ দাড়িভিটের ভাষাবীরদের স্মরণে এক শ্রদ্ধাঞ্জলী এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে দাড়িভিটের মৃত্যুঞ্জয়ী ভাষাবীর রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মনের বলিদানকে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু সংহতির সভাপতি শ্রী দেবতনু ভট্টাচার্য, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রী অচিন্ত্য বিশ্বাস, বিশিষ্ট সাহিত্যিক শ্রী দেবাশীষ লাহা এবং এষা দে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজেশ-তাপসের পিতামাতা। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাজেশ-তাপসের ছবিতে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে একে একে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বাঙালির ভাষা কেড়ে নেবার বৃহত্তর চক্রান্ত সকলের সামনে তুলে ধরেন।অধ্যাপক অচিন্ত্য বিশ্বাস তার বক্তব্যে বলেন, “ যারা জলখাবারকে নাস্তা বলে, যারা স্নানকে গোসল বলে, তারা কখনোই বাঙালি হতে পারে না।আজ বাংলা দেশের ভাষা আন্দোলনকে আপন করে নিলে ভাষা রক্ষায় রাজেশ-তাপসের বলিদান ব্যর্থ হয়ে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “ এই পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে।আর সেই চক্রান্তের শিকার হলো রাজেশ-তাপস।” হিন্দু সংহতির সভাপতি শ্রী দেবতনু ভট্টাচার্য মহাশয় উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্যে বলেন, “জিহাদি শক্তির আজ ভয়ঙ্কর থাবা পশ্চিমবঙ্গে । তাঁর প্রতিরোধে হিন্দু সংহতির যুবশক্তি তাদের সমূহ শক্তি দিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিরোধ করছে, লড়াই করছে, রক্ত ঝরাচ্ছে। কিন্তু বৌদ্ধিক লড়াইয়ের কাজটাও করা দরকার। যার ফলে যুবসমাজের মন আন্দোলিত হবে, তাঁরা শক্তি খুঁজে পাবে,তাঁদের মনন শক্তি খুঁজে পাবে।” তিনি উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে জিহাদি শক্তির বাঙালি হিন্দুর শেষ আশ্রয়স্থল পশ্চিমবঙ্গ রক্ষার লড়াইয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ রাখেন।এছাড়াও অনুষ্ঠানে দেবাশীষ লাহা এবং এষা দে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। দেবাশীষ লাহা বলেন যে শুধু ভাষায় কথা বললে বাঙালি হওয়া যায় না। তোতা পাখি বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে, তাহলে তাকে কি বাঙালি বলবো?বাঙালি হলে তাঁর তুলসিতলা থাকবে,তাঁর দুর্গা পূজা থাকবে,তাঁর পয়লা বৈশাখ থাকবে; তবেই সে বাঙালি হবে।
‘পশ্চিমবঙ্গের জন্য’ এর উদ্যোগে দাড়িভিটের ভাষাবীরদের স্মরণ
