গত ইংরেজি ২০০৮ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি বাঙালি হিন্দুর আশা ভরসার আর এক নাম হিন্দু সংহতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। গত ১০ বছর ধরে যে সংগঠন প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলার জিহাদে আক্রান্ত, অত্যাচারিত, নিপীড়িত হিন্দুর কল্যাণের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।প্রতি বছর এই দিনটিতে প্রতিষ্ঠা দিবস কলকাতার বুকে পালিত হয় রানী রাসমণি এভিনিউ তে। কিন্তু এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকার কারণে মাইক ব্যবহারের অনুমতি না থাকায় এই অনুষ্ঠা হলে করতে হলো।আর তাই এই বছর ১১তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হলো কলকাতার ভারতসভা হল-এ। এই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ৫০০ কর্মী-সমর্থক যোগ দেন। হিন্দু সংহতির সভাপতি শ্রী দেবতনু ভট্টাচার্য ও স্বামী বলভদ্রজি মহারাজ ভারতমাতার ছবিতে পুষ্পার্ঘ্য এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে সভার কাজ শুরু করেন। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে হিন্দু সংহতির নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। সভাপতি ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি শ্রী সমীর গুহরায়,শ্রী দেব চ্যাটার্জি ও কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী শ্রী শান্তনু সিংহ; সম্পাদক শ্রী সুন্দর গোপাল দাস, সহ সম্পাদক শ্রী সুজিত মাইতি ও শ্রী মুকুন্দ কোলে; কোষাধ্যক্ষ শ্রী সাগর হালদার, হুগলী জেলার সভাপতি শ্রী পার্থপ্রতিম ঘোষ, ক্যানিং এর বিশিষ্ট নেতৃত্ব শ্রী দীনবন্ধু ঘরামী, বনগাঁর নেতা শ্রী অজিত অধিকারী , নেত্রী স্নেহা নস্কর প্রমুখ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বাঙালি হিন্দুর সামনে পশ্চিমবঙ্গে অত্যাচারিত, বঞ্চিত হিন্দুদের চরম বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং তার প্রতিকার, প্রতিরোধের উপায় তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে হিন্দুদেরকে এই প্রতিরোধের কাজে সহযোগী হওয়ার আহ্বান জানান সভাপতি শ্রী দেবতনু ভট্টাচার্য মহাশয়। শেষে জাতীয় সংগীত গানের মাধ্যমে এবং আগামীদিনে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে হিন্দু প্রতিরোধের কাজকে আরো শক্তিশালী করার শপথ নিয়ে সভার কাজ শেষ হয়।
হিন্দু সংহতির ১১তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন
