রাজমিস্ত্রির ছদ্মবেশে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছিল খাগড়াগড়-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কওসরের আত্মীয় কদর কাজি। জঙ্গি সংগঠন জেএমবির নতুন মডিউল তৈরির জন্যই সে এ রাজ্যে এসেছিল। তাই নতুন যুবকদের খোঁজা হচ্ছিল। পাশাপাশি চলছিল টাইম বোমা তৈরির কাজও। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) হাতে ধৃত কদরকে জেরা করে এইসব তথ্যই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হাতে এসেছে। বাংলাদেশে জেএমবি সংগঠনের কোন কোন সদস্যের সঙ্গে সে যোগাযোগ রাখছিল, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। মঙ্গলবার কদর কাজি ও সাজ্জাদ আলিকে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’জনকেই ১২ তারিখ পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরই কওসরের সঙ্গে রাজ্য ছাড়ে কদর কাজি। তারা দু’জনেই একসঙ্গে থেকেছে বিভিন্ন সময়ে। বেশ কিছুদিন বাংলাদেশে লুকিয়ে ছিল কওসর ও তার আত্মীয় কদর। কদরকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, কওসরের হাত ধরেই সে জেএমবিতে প্রবেশ করে। তার প্রশিক্ষণও হয় খাগড়াগড়-কাণ্ডের মূল অভিযুক্তের হাতে। প্রথমে কদরকে জেহাদি নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে বিস্ফোরক তৈরিও শেখে। খাগড়াগড়ের পর বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থেকে শেষমেশ বেঙ্গালুরুতে ঘাঁটি গাড়ে কওসরের সঙ্গেই। সেখানে থাকতে থাকতেই বিস্ফোরক তৈরির নতুন ফর্মুলা শেখে কদর। হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয় কওসর ওরফে বোমা মিজান। ধৃত জেরাতেও জানিয়েছে, টাইম বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ সে নিয়েছে তার আত্মীয়ের কাছ থেকে। আরামবাগের যে বাড়িতে কাজের সুবাদে থাকছিল, সেখান থেকে ঘড়ি, বৈদ্যুতিক তার, সার্কিট সহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার হওয়ায় তার প্রমাণ মিলেছে।
রাজমিস্ত্রির ছদ্মবেশে জিহাদি কার্যকলাপ, আরামবাগে গ্রেপ্তার খাগড়াগড় কাণ্ডের কওসর ও কদর কাজি
