বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের সময়ের নগ্ন ছবি তুলে রেখে দিয়েছিল প্রেমিক। পরে প্রেমিকা আপত্তি করলে তা দেখিয়েই দিনের পর দিন ব্ল্যাকমেল ও জোর করে সহবাসে বাধ্য করছিল প্রেমিক সেখ সাহিল। বারুইপুর থানার অন্তর্গত ফুলতলায় নিজের ফ্ল্যাটে আটকে রেখে দিনের পর দিন ওই তরুণীকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হতো বলে অভিযোগ। প্রেমিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন প্রেমিকা। গত ১৭ই জানুয়ারী, বৃহস্পতিবার রাতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ঐ তরুণী। তরুণীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শেখ সাহিলকে গত ১৮ই জানুয়ারী গ্রেপ্তার করে পুলিস। জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে নির্যাতিতার সাথে বন্ধুদের মাধ্যমে আলাপ হয় সাহিলের। সময়ের সাথে দুজনের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্কও তৈরি হয়। নির্যাতিতা তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তার সাথে সহবাসও করে সেখ সাহিল। অভিযোগ সহবাসের সময় ঐ তরুণীর নগ্ন ছবি সে মোবাইল ফোনে তুলে রাখে। পরবর্তী সময়ে সেই নগ্ন ছবি দেখিয়ে একাধিকবার ঐ তরুণীকে জোর করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে সেখ সাহিলের বিরুদ্ধে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐ ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ও হুমকি দেওয়া হয়েছে নির্যাতিতা তরুণীকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও ঐ তরুণীর সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় অভিযুক্ত। নির্যাতিতা তাতে বাধা দিলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এরপরেই বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে বারুইপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ঐ নির্যাতিতা তরুণী। তারপরেই তদন্তে নেমে শেখ সাহিলকে গ্রেপ্তার করে বারুইপুর থানার পুলিস। গতকাল ১৯শে জানুয়ারী, দুপুরে শেখ সাহিলকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।