গতকাল ১৬ই জানুয়ারী, বুধবার হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া থানার সামনে মা মনসা ঠাকুরের শোভাযাত্রায় গান বাজানো নিয়ে থানার অফিসার আপত্তি করেন এবং হিন্দুদের ওপর লাঠিচার্জ করার আদেশ দেন। পরে তা নিয়ে পুলিসের সঙ্গে হিন্দু জনতা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় জাঙ্গিপাড়া থানার কয়েকজন পুলিসকর্মী এবং কয়েকজন হিন্দু গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। স্থানীয় হিন্দু সংহতি প্রতিনিধি সূত্রে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গিয়েছে যে গতকাল সকালে হুগলী জেলার জাঙ্গিপাড়ার চন্দনপুর কুলিপাড়ার হিন্দু যুবকরা মনসা পূজার ঠাকুর আনতে থানার সামনে দিয়ে গান(জয় শ্রী রাম) বাজিয়ে যাচ্ছিল।তখন পুলিশ ঐগান বন্ধ করতে বললে ছেলেরা কর্ণপাত না করে ঠাকুর আনতে চলে যায়। কিন্তু ঠাকুর নিয়ে ফেরার সময় শোভাযাত্রায় বাধা দেন এবং গান বাজানো বন্ধ করতে বলে পুলিসকর্মীরা, কিন্তু হিন্দু গ্রামবাসীরা তা না মানায় ২জন পুলিশ ও ২ সিভিক ভলান্টিয়ার হিন্দু ছেলেদের লাঠি দিয়ে মারধর করে ।এই খবর গ্রামে পৌঁছালে গ্রামের হিন্দু জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। কয়েক হাজার হিন্দুজনতা থানার সামনে এসে জড়ো হয় ।তখন থানার মেজোবাবু হিন্দু জনতার ওপর লাঠিচার্জ করতে নির্দেশ দেন ।পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে হিন্দুরা তখন থানায় ঢুকে পুলিশ এর উপর চড়াও হয়। সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়, সিভিক পুলিশরা ভয়ে লুকিয়ে পড়ে, শেষে পুলিশ থানার গেট বন্ধ করে হাত জোড় করে সন্মিলিত হিন্দু জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। পরে থানার সামনে ৩০মিনিট ধরে ঐ গান চালিয়ে লাঠিসোটা হাতে হিন্দু রা নাচানাচি করে। কয়েকজন আহত হিন্দু বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি, তাদের চিকিৎসা চলছে।
হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় মনসা পূজার শোভাযাত্রায় বাধা- লাঠিচার্জ পুলিসের; হিন্দু জনতা এবং পুলিসের সংঘর্ষ
