রাজ্যের মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের বিদেশে গিয়ে ডাক্তারি পড়ার জন্যে বিশাল পরিমান টাকা ঋণ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই টাকাতে মুসলিম ছাত্ররা চীন, রাশিয়া,বাংলাদেশ এবং ইউরোপের বহু দেশে ডাক্তারি পড়তে যাচ্ছে এই রাজ্য থেকেই। তাদেরকে ঋণ দিচ্ছে ”রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগম”। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই ঋণ-এর পরিমান ২০লাখ টাকা এবং সুদ দিতে হবে তিন শতাংশ হারে। আর ঋণ শোধ করার শর্ত হলো ডাক্তারি পড়া শেষ করার ছয় মাস পর থেকে ঋণ শোধ করা শুরু করতে হবে। এই বছরে অর্থাৎ ২০১৮ সালে এই ঋণ সবথেকে বেশিজন পেয়েছেন মালদা জেলায়। জানা গিয়েছে, এইবছর মালদা জেলায় ঋণ পাওয়ার জন্যে আবেদন করেছিলেন ২৫০জন মুসলিম ছাত্র-ছাত্রী, যাদের মধ্যে ১৮৫জনকে ঋণ দেওয়া হয়েছে ২০ লাখ টাকা করে। এদের অনেকেই বিদেশে ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যাচ্ছেন।
পূর্বতন বাম সরকারের আমলেও এই ঋণ দেওয়া চালু ছিল এবং ঋণের পরিমান ছিল ৫ লাখ টাকা। কিন্তু বর্তমান আমলে তার পরিমান বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ টাকা। কিন্তু সংখ্যালঘু মুসলিম ছাত্রদের বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্যে সরকারি ঋণ দেওয়া হলেও, গরিব পরিবারের মেধাবী হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীদের বিদেশে ডাক্তারি পড়ার, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন কি দোষ করলো? সবার জন্যে উচ্চ শিক্ষার ঋণ ব্যাংকগুলি দিলেও, শুধমাত্র মুসলিমদের জন্যে সরকারি ঋণ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। হিন্দুদের জন্যে এইরকম কোনো সরকারি উদ্যোগ না থাকায় গরিব,অথচ মেধাবী হিন্দু ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটে যেতে হয় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলির দরজায়। ঋণ পেলেও সুদ দিতে হয় বেশি; আর ঋণ না পেলে বিদেশে ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্নের মৃত্যু হয়। এ প্রসঙ্গে হিন্দু সংহতির সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য বলেন, ” একদিকে সংখ্যালঘু তোষণের নির্লজ্জ প্রতিযোগিতা চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে, অপরদিকে ধর্মনিরপেক্ষতার আফিম খেয়ে হিন্দুরা আচ্ছন্ন হয়ে আছে। তাদের পায়ের তলার মাটি ক্রমশ ধসে পড়ছে, তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে তারা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই বোধই হিন্দুদের নেই। আমাদের প্রজন্ম আমাদের দায়িত্ব পালনে সার্বিক ভাবে ব্যর্থ হয়েছি। আজ হিন্দু যুব ও ছাত্র সমাজকে নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে হবে, নিজেদের অধিকার বুঝে নেওয়ার জন্য মাঠে নামতে হবে, সমাজের নেতৃত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিতে হবে”।