দুই বাংলাদেশী পাচারকারকারীকে ধরতে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধল গ্রামবাসীদের। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে আহত দুই গ্রামবাসী। আহত বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মীও। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার ডাঙ্গীবস্তি এলাকায়। আহত ওই দুই গ্রামবাসীর নাম আব্দুল মালেক ও রহমান আলি। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে গোয়ালপোখর থানার বিশাল পুলিসবাহিনী।
স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়ালপোখর থানার পুলিস গোপনসূত্রে জানতে পারে ডাঙ্গীবস্তি এলাকার বাসিন্দা মজনুরের বাড়িতে দুই বাংলাদেশী আশ্রয় নিয়ে আছে। ওই দুই বাংলাদেশীকে গত ৯ই ডিসেম্বর, রবিবার গভীর রাতে পুলিস ধরতে যায়। সেই সময় গ্রামবাসীরা পুলিসকে বাধা দিলে পুলিস সেখান থেকে ফিরে আসে। পরে থানা থেকে বিশাল পুলিসবাহিনী নিয়ে গেলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিসকে লক্ষ্য করে গ্রামবাসীরা ইট পাথর ছুঁড়তে থাকে। পালটা পুলিস গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। পুলিসের গুলিতে আহত হয় আব্দুল মালেক ও রহমান আলি নামে দুই গ্রামবাসী। উত্তেজিত গ্রামবাসী পুলিসের গাড়িটিকে ভাঙচুর চালায় বলে পালটা অভিযোগ। এই ঘটনায় দুই জনকে আটক করে নিয়ে আসে পুলিস। এলাকায় এই ঘটনায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিসের গুলি চালানোর প্রতিবাদে পরেরদিন ১০ই ডিসেম্বর, সোমবার এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় ডাঙ্গিবস্তি গ্রামের বাসিন্দারা। পুলিস গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে জেলা পুলিস সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন,’দুই বাংলাদেশীকে পুলিস গ্রেপ্তার করতে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিসকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইট পাথর ছুঁড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিস কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট চালায়। এখনও পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন গ্রামবাসীকে আটক করা হয়েছে।’ জেলা পুলিস সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, ঐদিন রাতে পুলিস ওই গ্রামে দুই বাংলাদেশীকে ধরতে যায় তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রামবাসীরা ইট পাথর ছুড়তে থাকে। তখন পুলিস পাম এ্যাকশান গান(রাবার বুলেট) চালায়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং দোষীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
অবৈধ বাংলাদেশী পাচারকারীকে ধরতে গিয়ে মুসলিম গ্রামবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষ পুলিসের, আহত কয়েকজন পুলিসকর্মী
