সেক্স-জিহাদের এক নতুন রূপ দেখা গেলো কলকাতার একটি ঘটনায়। হিন্দু নাম ও পরিচয় নিয়ে একের পর এক বিয়ে করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যেত শেখ মুজিবর রহমান। এইরকম করে একটা-দুটো নয়, পর পর চারটি বিয়ে করেছিল সে। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই মেয়ের বাড়ির লোক আধার কার্ড বা পরিচয় পত্র দেখতে চাননি। আর তাই প্রতারিত হতে হলো মুসলিম যুবকের দ্বারা। আরো তিনটি বিয়ে করার মতলবে ছিল সে। কিন্তু তার আগেই দিঘা থেকে গ্রেপ্তার করলো কলকাতার সরশুনা থানার পুলিস। পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ওই মুসলিম যুবকের আসল বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত দেওয়ানদিঘি। তার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। সে নিজেকে অভিজিৎ মন্ডল বলে পরিচয় দিতো। কিন্তু আধার কার্ড-এ তার নাম রয়েছে শেখ মুজিবর রহমান। এমনকি বিয়ে করার জন্যে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতো। নিজেকে সিআরপিএফ-এর জওয়ান বলে পরিচয় দিতো। একই ভাবে মাস তিনেক আগে বেহালার সরশুনার বাসিন্দা এক হিন্দু তরুণীকে বিয়ে করে শেখ মুজিবর রহমান। কিন্তু কয়েক মাস পরেই সে বেপাত্তা হয়ে যায়। সেই তরুণী প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন সরশুনা থানায়। তার পরেই তদন্তে নেমে গত ৩রা ডিসেম্বর, সোমবার রাত্রে দিঘার হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ মুজিবরকে গ্রেপ্তার করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে তাদের। ঘন ঘন সিমকার্ড বদলানোর ফলে তার নাগাল পাওয়া যাচ্ছিলো না। কিন্তু গ্রেপ্তার করার পর সব শুনে পুলিস অফিসাররাও হতবাক। কিন্তু এইসব করার পিছনে কারণ কি,তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
হিন্দু পরিচয়ে ৪টি বিয়ে, আরও ৩টি বিয়ে করার আগে দিঘা থেকে গ্রেপ্তার শেখ মুজিবর রহমান
