বাঙালি হিন্দুর মাটি বাঁচানোর লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। বাঙালি হিন্দুর সম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাঙালি হিন্দুর অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। জেহাদ মুক্ত পশ্চিমবঙ্গের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের সংকল্পের নাম হিন্দু সংহতি।
উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা থানার অন্তর্গত ঝাটকিয়া গ্রাম। সেই গ্রামেই রয়েছে জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসা। কিন্তু গত ২৯শে নভেম্বর, গভীর রাত্রে ওই মাদ্রাসায় শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের আওয়াজে পুরো গ্রাম কেঁপে ওঠে। এমনকি মাদ্রাসার দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। মাদ্রাসার ভিতরে চেয়ার,টেবিল ভেঙেচুরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। দেওয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ে বিস্ফোরণের তীব্রতায়। বিস্ফোরণের আওয়াজে গ্রামবাসীরা মাদ্রাসা চত্বরে ছুটে আসেন। গ্রামবাসীরা মাদ্রসার মৌলবী জুনেদ আলম রুমানিকে ঘিরে ধরে বিস্ফোরণের কারণ জানতে চান। কিন্তু আশ্চর্জনকভাবে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ বিস্ফোরণের কথা প্রথমে পুলিসকে জানাননি। সূত্র মারফত এই খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কার্তিকচন্দ্র মন্ডল ঘটনাস্থলে আসেন। তখনই মাদ্রাসা কতৃপক্ষ দাবি করেন যে মাদ্রসায় বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা বোমা ছুঁড়েছে এবং শুক্রবার দুপুরে ডালখোলা থানায় FIR দায়ের করেছেন। কিন্তু ইতিমধ্যেই একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে রাতে বিস্ফোরণ হলেও সকালে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ কেন পুলিসকে জানাননি।
তবে এই ঘটনায় খাগড়াগড় কান্ডের কথা মনে করিয়ে দিলো। এমনিতেই খাগড়াগড় কান্ডের পর পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকাগুলি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত গোয়েন্দারা। এরমধ্যেই ঝাটকিয়ার এই বিস্ফোরণ অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। মাদ্রাসার ভিতরে বোমা বিস্ফোরণ করলো কারা? কি কারণে এই বোমা বিস্ফোরণ ? রাতে বিস্ফোরণ হলেও, দুপুরে কেন থানায় অভিযোগ জানানো হলো ?যদিও এইসব প্রশ্নের উত্তর একমাত্র তদন্তের পরেই জানা যাবে। তবে এই ঘটনাকে যথেষ্ট গুরত্ব দিয়ে দেখছেন জেলা পুলিসের কর্তারা। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত পুলিস সুপার ঘটনাস্থল ঘুরে গিয়েছেন এবং নিজের তত্বাবধানে তদন্ত করছেন। তাছাড়া মাদ্রাসার ভিতরে কি কাজকর্ম হতো, তা জানার জন্যে স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন পুলিসকর্তারা। তবে এই ঘটনার পর কাউকে আটক বা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়নি।