জঙ্গি অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে দু’দিন আগেই রাজ্য জুড়ে সতর্কতা জারি করেছিল পঞ্জাব সরকার। তার পরেও গতকাল ১৯শে নভেম্বর, সোমবার অমৃতসরের শিখ ধর্মালম্বীদের এক ধর্মীয় সমাবেশে গ্রেনেড বিস্ফোরণে মৃত্যু হল ৩ জনের।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাজাসংসী গ্রামের নিরঙ্কারি ভবনে প্রার্থনার জন্য জমা হয়েছিলেন নিরঙ্কারি শিখ সম্প্রদায়ের কয়েকশো সদস্য। বেলা ১২টা নাগাদ মোটরবাইকে এসে তাঁদের দিকে গ্রেনেড ছোড়ে মুখোশধারী দুই ব্যক্তি। ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৩ জন। আহত ২০। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ মনে করছে, এই হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরাই। পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে পুষ্ট খলিস্তানি বা কাশ্মীরি জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। জইশ ই মহম্মদের ছয় বা সাত জন জঙ্গি পঞ্জাবে ঢুকেছে এবং তারা ফিরোজপুরে রয়েছে বলে বৃহস্পতিবারই সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা। বলা হয়েছিল, দিল্লির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে ওই জঙ্গিরা। গত সপ্তাহে পঠানকোটের মাধোপুরে চালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে একটি এসইউভি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আরও বাড়ে। পঞ্জাব পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল সুরেশ অরোরা বলেছেন, ‘‘এই হামলা জঙ্গিদের কাজ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির উপরে হামলা হয়নি, হামলা হয়েছে একটি সম্প্রদায়ের উপরে। অকারণে এক দল মানুষের উপরে গ্রেনেড ছোড়ার আর কোনও কারণ নেই।’’ মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার। হামলাকারীদের গোপন ঘাঁটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশের একাধিক দল।