প্রকৃত ভারতীয় হয়েও নাম নেই নাগরিকপঞ্জীর খসড়া তালিকাতে। আর তার ফলেই দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন আসামের দরং জেলার দলগাওঁয়ের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নীরোদবরণ দাস। তার ওপর এনআরসি সেবাকেন্দ্রে গেলে তাকে জানানো হয় যে তিনি বিদেশী। আর সেই মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা করলেন তিনি। গতকাল ২১শে অক্টোবর, রবিবার নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। এনআরসি কতৃপক্ষের ভুলে আর একজন হিন্দু বাঙালিকে মরতে হলো বলে তার পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন। তবে এই ঘটনা আসামের বাঙালি হিন্দুদের বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলে ধরলো বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ সম্পূর্ণ খসড়া প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় লক্ষ লক্ষ হিন্দু বাঙালি দেশের নাগরিক হওয়া সত্বেও আতঙ্কে রয়েছেন। এই আতঙ্ক মোটেই অমূলক নয়। নাগরিকপঞ্জির খসড়া প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বহু জেলার বিশেষ করে নিম্ন আসামের জেলাগুলির হিন্দু বাঙলিরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হলেন নীরোদবরণ দাস। তবে কোনোরকম মামলা ছাড়াই কিভাবে তাকে বিদেশী ঘোষণা করলেন এনআরসি কতৃপক্ষ,তা নিয়ে পরিবারের লোকেরা প্রশ্ন তুলেছেন ইতিমধ্যেই। তবে এই ঘটনা নিয়ে আসামের হিন্দু বাঙালিদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কিভাবে কোনো মামলা ছাড়াই বিদেশী ঘোষণা করা হলো নীরোদবরণ দাসকে, তা খতিয়ে দেখতে দরং জেলার এসপি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
এনআরসি-তে বিদেশী ঘোষণা, অবসাদে আত্মহত্যা করলেন আসামের দলগাওঁয়ের শিক্ষক নীরোদবরণ দাস
