বীরভূম জেলায় আদিবাসী হিন্দু সমাজের মহিলারা মুসলিমদের হাতে যৌন লালসার শিকার হয়েই চলেছে। মাত্র কয়েকমাস আগেই পাড়ুই-এর এক আদিবাসী মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ।তার পর মহম্মদবাজারের এক আদিবাসী মহিলা জঙ্গলে পাতা কুড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। আর এইবার ধর্ষণের শিকার হল সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। মেয়েটির বাড়ি সিউড়ি থানার অন্তর্গত কামারডাঙ্গা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ই সেপ্টেম্বর, শনিবার ছাত্রীটি গ্রামের পাশে জঙ্গলে গরু চরাতে গিয়েছিলো। তখনই পাশের বাতাসপুরের বাসিন্দা মোহিত খান ছাত্রীটিকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এমনকি মেয়েটিকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়। পরে মেয়েটি সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে সব ঘটনা জানালে রাতেই পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিস তদন্তে নামে এবং রাতেই অভিযুক্ত মোহিত খানকে গ্রেপ্তার করে। পরেরদিন ১৬ই সেপ্টেম্বর,রবিবার ধৃত মোহিতকে বিশেষ আদালতে তোলা হয়। জানা গিয়েছে, এলাকায় মোহিত খান কয়লা চুরি ও পাচার ছাড়াও একাধিক অপরাধ করে বেড়ায়। তবে এই ঘটনায় আদিবাসী সমাজে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে এবং তারা ঐক্যবদ্ধভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি যথেষ্ট থমথমে এবং এলাকায় পুলিসকর্মী মোতায়েন রয়েছে।
বীরভূমের সিউড়িতে আদিবাসী কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ,গ্রেপ্তার মোহিত খান।
