প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলের মধ্যেই এক নাবালিকা ছাত্রীকে কেমিক্যাল ইনজেকশন দিলো স্কুলেরই মুসলিম ছাত্র। এই চাঞ্চল্যকর এবং অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে আসামের শিলচরের ঘুঙঘুর থানা এলাকার ললিত জৈন মেমোরিয়াল হাই স্কুলে। স্কুলেরই মুসলিম ছাত্র মহম্মদ রবিউল করিম মজুমদার স্কুলে যাওয়া আসার পথে সবসময় উত্যক্ত করতো হিন্দু নাবালিকা রমা দাস (নাম পরিবর্তিত, বয়স ১৪ বছর) কে। একাধিকবার প্রেম প্রস্তাবও দেয় রবিউল। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে রমা। কিন্তু তার ফলে যে এতবড়ো মূল্য দিতে হবে তা রমা নিজেও কল্পনা করতে পারেনি। গত ৭ই জুন, বৃহস্পতিবার স্কুলের ল্যাবরেটরিতে ক্লাস চলাকালীন রবিউল পিছন থেকে রমার হাতে একটি সিরিঞ্জ ফুটিয়ে দেয়। তারপর মেয়েটি বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু বিকেলে রমা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তাররা পরীক্ষা করে জানায় যে রমার শরীরে কেমিক্যাল ইনজেকশন করা হয়েছে। এই ঘটনায় দোষী রবিউল মজুমদারের গ্রেপ্তার ও শাস্তি চেয়ে ঘুঙঘুর থানায় রমার মা অভিযোগ দায়ের করেছেন। উনি স্থানীয় হিন্দু সংহতির কর্মীদের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন। কিন্তু দোষী রবিউলকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিস। পুলিশ জানিয়েছে সে ও তার পরিবার পলাতক। রবিউলের গ্রেপ্তার চেয়ে গত ১১ই জুন, সোমবার হিন্দু সংহতির কর্মীরা ঘুঙঘুর থানায় ডেপুটেশন দেন।