একসময় নিজেই পাচার হয়ে গিয়েছিল। পরে সেই হয়ে যায় মুম্বইয়ে নারী পাচার চক্রের অন্যতম মাথা। মুম্বইয়ের নারী পাচারচক্রের এহেন বড় চাঁই তসলিমাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর থানার পুলিস গত ১৬ই জুন, শনিবার রাতে ঘোড়াদলের বৈদ্যপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তসলিমার সঙ্গে দশ বছরের এক নাবালককে পাওয়া গিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মথুরাপুরের বাসিন্দা তসলিমা চার বছর বয়সে বেপাত্তা হয়ে যায়। পরে জানা যায়, তাকে মুম্বইতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অনেক পরে তসলিমা নিজেই নারী পাচারের এক বড় পাণ্ডা বনে যায়। মথুরাপুর ছাড়াও ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ মহকুমার নানা এলাকা থেকে নানা টোপ দিয়ে একাধিক কিশোরীকে মুম্বই নিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। পুলিস অনেকদিন ধরেই তাকে খুঁজছিল। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছিল না। তিন মাস আগে কাকদ্বীপ মহকুমার হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার এক নাবালিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার স্বামীর মাধ্যমে মুম্বইতে বিক্রি করে দেয়। দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর মুম্বইয়ের একটি বার থেকে সেই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গফুরকেও। শনিবার হারউড কোস্টাল থানার পুলিস খবর পায়, তসলিমা মথুরাপুরে ঘাঁটি গেড়েছে। বিষয়টি মথুরাপুর থানাকে অবগত করা হয়। এরপর তার ছবি দেওয়া হয়। সেই সূত্র ধরে মথুরাপুর থানার ওসি শিবেন্দু ঘোষ বিশাল পুলিস বাহিনী নিয়ে ঘোড়াদলের বৈদ্যপাড়া থেকে তসলিমাকে ধরে।