বাংলাদেশে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী মদতপুষ্ট ঘাতক বাহিনী আল-বদর সারা বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দু গণহত্যা,লুঠপাঠ ও ধর্ষণ চালিয়েছিল। সেইসঙ্গে মুক্তিকামী মুসলিম জনগণের ওপরও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আল-বদর বাহিনী। সেই আল-বদর বাহিনীর কমান্ডার রিয়াজউদ্দিন ফকিরকে গতকাল ১০ই মে, বৃহস্পতিবার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। তার বিরুদ্ধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়াতে গণহত্যা, খুন, ধর্ষণ-এর মতো গুরুতর অভিযোগ ছিল। সেইসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইবুনালের বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে থাকা তিন বিচারপতির বেঞ্চ আল-বদর কমান্ডার রিয়াজউদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায়। ময়মনসিংহ জেলায় গণহত্যার মামলায় ৫৯ বছর বয়সী রিয়াজুদ্দিন ছাড়াও আর এক অপরাধী আমজাদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে। কিন্তু বিচার চলাকালীন গতবছর আমজাদ আলী অসুস্থ হয়ে মারা যান। বাংলদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রিয়াজউদ্দিন প্রথমে জামাত-ই -ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামিক ছাত্র সংঘের নেতা ছিলেন। পরে মুক্তি যুদ্ধের সময় গঠিত আল-বদর বাহিনীতে যোগ দেন এবং ময়মনসিংহ জেলার কমান্ডার দায়িত্ব পান। তার নেতৃত্বে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন অংশে গণহত্যা ও ধর্ষণ-এর মতো মানবতাবিরোধী কাজ করেছিলেন। রিয়াজুডিয়ানের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে খুশি বাংলদেশের সাধারণ মানুষজন।