মুর্শিদাবাদ থেকে একগুচ্ছ ইঞ্জেকশন বাজেয়াপ্ত করল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। এইসব ইঞ্জেকশন বুপ্রোনরফিন গ্রুপের। যা মাদক হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। হেরোইনের আকাল পড়ায় এই ইঞ্জেকশনের চাহিদা বেড়েছে। গত ৪ঠা মে, শুক্রবার এই ইঞ্জেকশন কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছেন এনসিবি’র অফিসাররা। আরও একজন ভুয়ো মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনারের খোঁজ চলছে। লাইসেন্স ছাড়াই ওষুধের দোকান খুলে সে এই কারবার চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। সে কোনও ডিগ্রি ছাড়াই মেডিক্যাল প্র্যাকটিস করে বলে জানা গিয়েছে।
এনসিবি’র কাছে খবর আসে, মুর্শিদাবাদে একটি নির্দিষ্ট ইঞ্জেকশনের চাহিদা ব্যাপকহারে হারে বেড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে তা নিয়ে আসা হচ্ছে। এক-একটি ইঞ্জেকশন বিক্রি করা হচ্ছে একশো টাকায়। অল্পবয়সি যুবকদের মধ্যে এর বিপুল চাহিদা রয়েছে। তারা ওই ইঞ্জেকশন কিনে নিয়ে গিয়ে সিরিঞ্জ দিয়ে নিজেরাই শরীরে পুশ করছে। এরপরই এনসিবি’র একটি টিম মুর্শিদাবাদে হানা দেয়। সেখান থেকে রেজাউল করিম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ ইঞ্জেকশন। তাকে জেরা করে আরও এক অভিযুক্তের খোঁজ মেলে। জানা যায়, তার ওষুধের দোকান রয়েছে। কিন্তু লাইসেন্স ছাড়া বেআইনিভাবে ওই দোকান চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে সে কোনও ডিগ্রি ছাড়াই মেডিক্যাল প্র্যাকটিস করে। তার কাছে এনসিবি কর্তাদের আসার খবর কোনওভাবে পৌঁছে যাওয়ায় সে পালিয়ে যায়। তার বাড়ি থেকেও উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমাণ ইঞ্জেকশন। প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই সেইসব ইঞ্জেকশন নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উদ্ধার হওয়া ইঞ্জেকশনের মূল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকার কাছাকাছি বলে দাবি করেছে এনসিবি।