বাঙালি হিন্দুর মাটি বাঁচানোর লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। বাঙালি হিন্দুর সম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাঙালি হিন্দুর অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। জেহাদ মুক্ত পশ্চিমবঙ্গের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের সংকল্পের নাম হিন্দু সংহতি।
আশ্রমের জমি দখলের চেষ্টা, রুখে দাঁড়ালো হিন্দু সংহতি
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মন্দিরবাজার আঁচনা। ওখানে রাস্তার ধারে সুশান্ত মহারাজের একটি আশ্রম রয়েছে, যা এলাকার সাধারণ হিন্দুদের কাছে অতি পরিচিত। আশ্রমের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিতে এলাকার হিন্দু জনসাধারণ উৎসাহের সঙ্গে যোগ দিয়ে থাকে। কিন্তু ওই জমির ওপর নজর স্থানীয় মুসলমানদের একাংশের। স্থানীয় মুসলমানদের একটি গোষ্ঠির সহযোগিতায় জাহির মোল্লা (পিতা-মৃত নাজিম মোল্লা) নামক ব্যক্তি দলবল নিয়ে এসে জমি দখল করে ঘর করতে শুরু করে। আশ্রমের সন্ন্যাসী বাধা দেন। তখনকার মতো কাজ বন্ধ করে চলে যায়। কিন্তু আশ্রমের মহারাজ জাহির মোল্লা ও স্থানীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে মামলা দায়ের করেন। কোর্ট গত ৩রা মে ওই জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করে এবং মন্দিরবাজার থানার পুলিশকে নির্দেশ দেয় যে তারা যেন ২১জুন,২০১৮ -এর মধ্যে কোর্টে রিপোর্ট পেশ করে। কিন্তু কোর্টের আদেশ অমান্য করে গতকাল ৫ই মে, শনিবার মুসলমানরা আশ্রমের জায়গায় গায়ের জোরে ঘর তৈরি করতে শুরু করে। কিন্তু স্থানীয় হিন্দুরা সাহায্যের জন্যএগিয়ে আসেনি। এমনকি মন্দিরবাজার থানার পুলিশকে জানানো হলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে পুলিশ সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসেনি। তখন সুশান্ত মহারাজ হিন্দু সংহতির প্রমুখ কর্মী শ্রী রাজকুমার সরদারকে ফোন সমস্যার কথা জানান এবং সাহায্যের জন্যে আবেদন করেন। শ্রী রাজকুমার সরদার হিন্দু সংহতির কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। হিন্দু সংহতির পক্ষ থেকে পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। পরে পুলিশ ওই জমিতে ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে ওই স্থানে মন্দিরবাজার থানার পুলিশকর্মী মোতায়েন রয়েছে।