রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের অধিকার কার হাতে থাকবে –মাদ্রাসা পরিচালন সমিতি নাকি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন – সুপ্রিম কোর্টে এই প্রশ্নের মীমাংসা হল না বৃহস্পতিবারেও৷ এই প্রশ্নের মীমাংসার আগে শীর্ষ আদালত বিচার করে দেখবে , রাজ্যের মাদ্রাসাগুলি সংখ্যালঘু তকমা পাওয়ার যোগ্য কিনা৷ আগামী মঙ্গলবার থেকে এই প্রশ্নের উত্তর -সন্ধানে শুরু হবে শীর্ষ আদালতে শুনানি৷ গত ১৯শে এপ্রিল, বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের বেঞ্চ৷ মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের অধিকার নিয়ে মামলার শুনানিতে রাজ্যের একটি মাদ্রাসার তরফে জানানো হয় , ২০০৭ সালে রাজ্যের সব ক’টি মাদ্রাসাকে ‘সংখ্যালঘু’ শ্রেণিভুক্ত বিদ্যালয়ের তকমা দিয়ে বিজ্ঞন্তি প্রকাশ করেছিল তৎকালীন রাজ্য সরকার৷ সেই বিজ্ঞন্তি চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে কয়েকটি মাদ্রাসা৷ রাজ্যের বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের অধিকার মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির হাতে না দিয়ে পরে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের হাতে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়৷ কাঁথি রহমানিয়া মাদ্রাসার তরফে আইনজীবী আবু সোহেল আবার দাবি করেন , সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের অধিকার রাজ্য সরকারের নেই৷ এর পরেই বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত স্থির করেন, রাজ্যের মাদ্রাসাগুলি ‘সংখ্যালঘু’ মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য কিনা , তা আগে স্থির করবে আদালত৷ ৷ এর গত গত এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিলো যে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলোতে কি পড়ানো হয়। এমনকি বিচাপতিরা এই মন্তব্য করেছিল যে রাজ্য সরকার যেহেতু টাকা দেয়, তাই শিক্ষক নিয়োগের অধিকারও তাদের থাকা উচিত।