গত ২রা এপ্রিল কাছাড় প্রতিবাদী মঞ্চ নামে মুসলিমদের একটি সংগঠন কাছাড় বনধের ডাক দেয়। তার রেশ ধরে শিলচরের কালীবাড়িতে মুসলিমরা হিন্দুদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে। আর তা নিয়ে হিন্দু-মুসলিমদের দাঙ্গা হয় কালীবাড়ির চর ও মধুরবন্দ এলাকায়। বর্তমানে এলাকায় শান্তি বিরাজ করছে। তবে গত ১০ই এপ্রিল শিলচর-এর পুলিশ সুপার একটি সর্বদলীয় সভা ডাকেন। ওই সভাতে কাছাড় জেলার জেলাশাসকও উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত কয়েকজন সেকুলার ও মুসলমান নেতা হিন্দু সংহতির কাজকর্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন যে ”হিন্দু সংহতি সংগঠনটির ব্যাপারে খোঁজ খবর নেবার জন্যে পুলিশকে আমি নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়াও ওই সংগঠনটি কিভাবে কাজ করে, কিভাবে সদস্য করায় পুরো বিস্তারিত তদন্ত করে দেখবে পুলিশ”। এছাড়াও তিনি সাম্প্রতিক মধুরবন্দ দাঙ্গাতে হিন্দু সংহতির ভূমিকা খতিয়ে দেখবেন বলে জানান। প্রসঙ্গত, কালীবাড়ির চর ও মধুরবন্দে দাঙ্গা প্রথমে মুসলিমরা শুরু করলেও পরে নিয়ন্ত্রণ আসে হিন্দুদের হাতে। ক্ষুব্ধ হিন্দুরা মধুরবন্দ এলাকার মুসলিমদের অনেকগুলি দোকানপাট ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। সেই প্রসঙ্গে হিন্দুর অধিকার ও হিন্দুর মাটি বাঁচানোর লড়াইয়ের হিন্দুর একমাত্র ভরসা হিন্দু সংহতি এখন আসামের তথাকথিত সেকুলার এবং জেহাদী মুসলমানদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।